তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদ্মা সেতু করেছেন দেশের আপামর সব মানুষের জন্য। তবে যারা এ সেতু নিয়ে অপপ্রচারগুলো করেছিল, তাদের ক্ষমা চাওয়া উচিত। আমি তাদের বলব, ক্ষমা চেয়ে পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে যেতে পারেন তারা। 

মঙ্গলবার (২৪ মে) বিকেলে রাজধানীতে মিন্টো রোডের সরকারি বাসভবনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এসব কথা বলেন। ফ্রান্সে কান চলচ্চিত্র উৎসবে বঙ্গবন্ধু বায়োপিকের ট্রেলার উদ্বোধন শেষে এ দিন দুপুরে দেশে ফেরেন মন্ত্রী।

ড. হাছান বলেন, বেগম খালেদা জিয়া, মির্জা ফখরুল, সিপিডি, টিআইবিসহ আরও ব্যক্তিবর্গ পদ্মা সেতুতে অর্থায়ন না করার জন্য হিলারি ক্লিনটনের মাধ্যমে এমনকি বিশ্বব্যাংকে সরাসরি চিঠি লিখেছিলেন, ই-মেইল করেছিলেন। তাদের সব বিরূপ মন্তব্য, ষড়যন্ত্র, অপতৎপরতা সত্ত্বেও প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যার নেতৃত্বে বাংলাদেশ নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করেছে। এই সেতু বাংলাদেশের সব মানুষের জন্য। 

'যারা পদ্মা সেতুর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছিল, জনগণ তাদের প্রশ্ন করছে, ক্ষমা চাওয়ার আগে তাদের পদ্মা সেতুতে ওঠার অধিকার আছে কি না', বলেন হাছান মাহমুদ। 

তিনি বলেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, তাদের যদি লজ্জা থাকে তবে সেতু যাতে না হয় সেজন্য তারা যে অপপ্রচার, মিথ্যাভাষণ এবং দেশবিরোধী তৎপরতা চালিয়েছে, সেগুলোর জন্য পদ্মা সেতু ব্যবহারের আগে ক্ষমা চাওয়া উচিত। 

কান উৎসব অংশ নেওয়া প্রসঙ্গে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, সেখানে বঙ্গবন্ধুর বায়োপিক 'মুজিব : একটি জাতির রূপকার' বহু কাঙ্ক্ষিত চলচ্চিত্রের ট্রেলার উদ্বোধন হয়েছে এবং উৎসবে মানুষের মধ্যে ব্যাপক উদ্দীপনা ছড়িয়েছে। কান চলচ্চিত্র উৎসব নগরীর প্রধান প্রবেশদ্বারে বঙ্গবন্ধু বায়োপিক অর্থাৎ 'মুজিব: একটি জাতির রূপকার' চলচ্চিত্রের পোস্টার শোভা পাচ্ছে। এই চলচ্চিত্রের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর জীবন, কর্ম, আত্মত্যাগ এবং একটি জাতির রূপকার হিসেবে তার যে ত্যাগ, সংগ্রাম, অর্জন, সেগুলো তুলে আনা হয়েছে।

বঙ্গবন্ধু বায়োপিক নিয়ে নানা আলোচনার বিষয়ে প্রশ্ন করলে মন্ত্রী ড. হাছান বলেন, 'বঙ্গবন্ধু এবং আরও বিশ্বনেতাদের জীবন ও কর্মকে আড়াই-তিন ঘণ্টায় তুলে আনা কঠিন। কিন্তু এই চলচ্চিত্রে সেটি তুলে আনার চেষ্টা করা হয়েছে। আর পরিচালক শ্যাম বেনেগাল ঠিকই বলেছেন, দেড় মিনিটের ট্রেলার দেখে একটা চলচ্চিত্রের ওপর মন্তব্য করা যায় না, সেজন্য পুরো ছবিটা দেখতে হবে। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি এই চলচ্চিত্রটি একটি ডকুমেন্টারি হিসেবেও কাজ করবে। বঙ্গবন্ধুর সংগ্রাম, আত্মত্যাগ এবং ফাঁসির মুখোমুখি দাঁড়িয়েও বঙ্গবন্ধু যে জাতির প্রশ্নে, বাঙালির প্রশ্নে অবিচল ছিলেন সেই বিষয়গুলো নতুন প্রজন্ম জানতে পারবে। আমিও অধীর আগ্রহে চলচ্চিত্রটি দেখার জন্য অপেক্ষা করছি।'

আগামী বছর থেকে কান চলচ্চিত্র উৎসবে আমরা একটি স্টল দেওয়ার পরিকল্পনা করছি যাতে করে বাংলাদেশের চলচ্চিত্রকে বিশ্ব দরবারে তুলে ধরা যায়, জানান তথ্যমন্ত্রী। 

এসএইচআর/এসকেডি