মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার চালু নিয়ে দুই ভাগে বিভক্ত ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেছেন, নিজেরা বিভক্ত হয়ে বাজার নষ্ট করার কোনো মানে হয় না। কর্মী পাঠানো দরকার। আপনাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

মঙ্গলবার (২৪ মে) রাজধানীর একটি হোটেলে বায়রা সম্মিলিত গণতান্ত্রিক জোটের আয়োজিত ‘বৈদেশিক কর্মসংস্থান বৃদ্ধি ও বন্ধ শ্রমবাজার উন্মুক্ত’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

স্থায়ী কমিটির সভাপতি বলেন, মালয়েশিয়ায় রাবার বাগানে চারা রোপণে কষ্ট হচ্ছে। কর্মীর অভাবে দেশটির বিভিন্ন শিল্প খাত ভুগছে। তাদের কর্মী দরকার। যথেষ্ট লোক পাঠানো যাবে। শ্রমবাজারটি চালু করতে হবে। কর্মীদের স্বার্থ দেখতে হবে। তাই দুই দেশ মিলে একটি প্রক্রিয়া ঠিক করতে হবে। যতটুকু পারা যায় এটি উন্মুক্ত রাখতে হবে। যারা ভালো, তারা টিকে থাকবে।

আনিসুল ইসলাম বলেন, আগের মতো দেশটিতে গিয়ে কর্মীরা জঙ্গলে আশ্রয় নেবেন, তা হতে দেওয়া যাবে না। আগের মতো দুর্নীতি করতে দেওয়া যাবে না। সামনে উভয়পক্ষ বৈঠকে বসবে। সেই বৈঠকে যে সিদ্ধান্ত হবে, সে প্রক্রিয়ায় শ্রমবাজারটি চালু করা হবে।

বিদেশে কর্মী প্রেরণ করা রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোর সমালোচনা করেন স্থায়ী কমিটির সভাপতি। তিনি বলেন, আপনাদের মাধ্যমে লোক যাচ্ছে। আপনাদের রোজগার কিন্তু তাদের হাতে। তাদের পাঠানোর প্রক্রিয়া থেকে আপনাদের আয় আসে। তাদের প্রতি আপনাদের বিরাট দায়িত্ব রয়েছে। আপনারা মনে করেন লোক পাঠিয়ে দিয়ে খালাস। এটা হওয়া উচিত না। আপনাদের মনে রাখতে হবে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ কিন্তু এই খাতের ওপর নির্ভর করবে।

এ সময় দক্ষ কর্মী প্রস্তুত করার ওপর জোর দেন স্থায়ী কমিটির সদস্য। সেক্ষেত্রে এ খাতের ব্যবসায়ীদের দায়িত্ব নিতে হবে বলে জোর দেন তিনি।

সভায় বায়রা সম্মিলিত গণতান্ত্রিক জোট শিগগিরই মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার খোলার ওপর জোর দেন। ব্যবসায়ীদের ভাষ্য, সীমিত এজেন্সি কিংবা সবার জন্য উন্মুক্ত, যেকোনো প্রক্রিয়ায় দ্রুত শ্রমবাজার চালু করা দরকার।

বায়রার সাবেক সভাপতি বেনজীর আহমেদ বলেন, বাজার চালু নিয়ে দুই বছর ধরে নানা কথা হচ্ছে। সিদ্ধান্ত নেবে দুই দেশের সরকার। আগামী ২ জুন যে সিদ্ধান্ত হবে, এটাই হবে সবার সিদ্ধান্ত। সরকারের নির্ধারিত খরচে কর্মী যাবেন। সবার মধ্যে ঐক্যের প্রয়োজন আছে। বাজার খুলতে হবে, কর্মী যাবে। না হলে বিরাট ক্ষতি হয়ে যাবে।

সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বায়রার সাবেক মহাসচিব রুহুল আমিন ও স্বপন সেন্টার ফর এনআরবির চেয়ারম্যান এস এম সেকিল চৌধুরী প্রমুখ।

এনআই/এমএইচএস