ডাকাতি ও অস্ত্র আইনের আট মামলার আসামি দক্ষিণাঞ্চলের ডাকাত সর্দার শহিদুল। ডাকাতির কোনো ঘটনার আগে যেমন তিনি রেকি করেন, তেমনি এক জায়গায় ডাকাতি শেষে স্থান পরিবর্তন করে অবস্থান নেন অন্যত্র। নতুন স্থানে গিয়ে ফল বা সবজি বিক্রেতার ছদ্মবেশে এলাকা ও বাসা রেকি করে ডাকাতির পরিকল্পনা করতেন শহিদুল।

সাম্প্রতিক সময়ে ঢাকা, নরসিংদী, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিল্লা, খুলনা, বরিশালসহ দেশের দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলোতে চাঞ্চল্যকর কয়েকটি ডাকাতির ঘটনার মূল হোতা শহিদুল মোল্লাকে গ্রেপ্তারের পর এমন তথ্য দিয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

বুধবার দুপুরে রাজধানীর মালিবাগে সিআইডি কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এলআইসি শাখার বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্তা ধর বলেন, এই ধরনের ডাকাতি চক্রের সদস্যদের সনাক্ত ও তাদের কর্মপদ্ধতি সম্পর্কে দীর্ঘদিন যাবৎ অনুসন্ধান করে আসছিল সিআইডি। এরই ধারাবাহিকতায় একাধিক ডাকাত সদস্যকে সনাক্ত করা হয়।

মঙ্গলবার দিবাগত রাতে উত্তরা পশ্চিম থানাধীন এলাকা থেকে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের দুর্ধর্ষ ডাকাত দলের সর্দার ও ৮ মামলার এজাহারনামীয় ও সাজাপ্রাপ্ত আসামি মো. শহিদুল মোল্লাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

মুক্তা ধর বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার শহিদুল জানান, তার নেতৃত্বে ১০/১২ সদস্যের একটি ডাকাত দল রয়েছে। তিনি দল নিয়ে বরিশালের উজিরপুর, বিমানবন্দর থানা, গৌরনদী, মাদারীপুরের কালকিনীসহ বিভিন্ন এলাকায় ডাকাতি করেছেন। ৭টি মামলায় তিনি আদালত থেকে জামিন নিয়ে আত্মগোপনে যান।

এই সময়ে তিনি রাজধানীর উত্তরা এলাকায় মৌসুমী ফল ও সবজি বিক্রেতার বেশ ধরে বসবাস করে আসছিলেন। পাশাপাশি ডাকাতি জন্য এলাকা ও বাসা রেকি করতেন। 

গ্রেপ্তার ডাকাত শহিদুল আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সর্দার। দেশের দক্ষিণাঞ্চলে তার নামে নিজস্ব ডাকাত বাহিনী রয়েছে। তিনি ২০১০ সাল থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ভয়ভীতি দেখিয়ে টাকা, স্বর্ণালংকার ও মূল্যবান সামগ্রী ডাকাতি করে আসছিলেন।

জেইউ/এনএফ