চট্টগ্রাম বন্দরের মাধ্যমে পর্যটন (কার্নেট দ্য প্যাসেজ) সুবিধায় বিএমডব্লিউ, মার্সিডিজ বেঞ্জ, ল্যান্ড ক্রুজার, ল্যান্ড রোভার, জাগুয়ার, মিতসুবিশি ও লেক্সাস জিপসহ বিলাসবহুল গাড়ি আমদানি হয়েছিল। তবে আমদানিকারকরা না নেওয়ায় ১০৮টি বিলাসবহুল গাড়ি নিলামে বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে চট্টগ্রাম কাস্টমস। আগামী জুনে এসব গাড়ির নিলাম অনুষ্ঠিত হবে।

বুধবার (২৫ মে) দুপুরে কাস্টম মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে চট্টগ্রাম কাস্টম কমিশনার মো. ফখরুল আলম এ তথ্য জানান।

সংবাদ সম্মেলনে কাস্টম কমিশনার বলেন, গাড়িগুলোর বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে ক্লিয়ারেন্স পারমিট (সিপি) ইস্যু করা হয়েছে। ফলে নিলামে গাড়ি ক্রেতাদের কোন সিপি সংগ্রহ করতে হবে না। এরমধ্যে ৮৫টি গাড়ির নতুন সিপি দেওয়া হয়েছে ও পূর্বে থেকে ২৩টি গাড়ির সিপি ছিল।

মো. ফখরুল আলম বলেন, ১০৮টি গাড়ির নিলাম অধিকতর স্বচ্ছ এবং প্রতিযোগিতাপূর্ণ করার জন্য প্রচলিত নিলামের পাশাপাশি ই-অকশন পদ্ধতিতেও নিলাম করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। 

তিনি বলেন, গাড়িগুলোর ক্যাটালগ প্রকাশ করা হবে ২৯ মে। আগ্রহী ক্রেতারা ৫ জুন থেকে ৯ জুন পর্যন্ত অফিস চলাকালীন সময়ে গাড়িগুলো সরেজমিনে গিয়ে দেখতে পারবেন। আগামী ১২ ও ১৩ জুন ই-অকশনে অনলাইন ও ম্যানুয়াল নিলামে দরপত্র জমা দিতে পারবেন। তবে পে অর্ডারের হার্ডকপি জমা নেওয়া হবে ১৬ জুন। 

মো. ফখরুল আলম বলেন, চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক অফিস, কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট ঢাকা (দক্ষিণ), সিলেট কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট অফিস এবং মোংলা কাস্টম হাউসের নিলাম শাখায় দরপত্র জমা দেওয়া যাবে। টেন্ডার বক্স খোলা হবে ১৯ জুন। আর নিলাম অনুমোদনের সম্ভাব্য তারিখ ধরা হয়েছে ২৩ জুন।

কাস্টম কমিশনার বলেন, গাড়িগুলো দীর্ঘদিন ধরে চট্টগ্রাম বন্দরে পড়ে আছে। যার ফলে সরকারের রাজস্ব আটকে আছে। এসব গাড়ি বন্দরের অনেক জায়গাও দখল করে রেখেছে। এগুলো নিলামে বিক্রির জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছি। এই গাড়িগুলো ২০১১-২০১২ সালের দিকে পর্যটকরা আমদানি করেছেন। যারা গাড়িগুলো এনেছে তারা বাংলাদেশি। বাংলাদেশে কার্নেট দ্য প্যাসেজের আওতায় আনা গাড়ি শুল্কমুক্ত নেওয়ার কোন সুযোগ নেই। তখনই এধরণের সুবিধায় আনা গাড়ি খালাস স্থগিত করা হয়।  

মো. ফখরুল আলম বলেন, এসব গাড়িগুলো পরবর্তীতে পর্যটকরা আর খালাস নেননি। যারা গাড়িগুলো এনেছিলেন তারা সেসব দেশেও গাড়িগুলো ফেরত নিয়ে যান নি। এসব গাড়ি এর আগেও নিলামে বিক্রির জন্য একাধিক বার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সে উদ্যোগগুলো সফল হয়নি। 

তিনি বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে সিপি সংগ্রহ করা নিলামে ক্রেতাদের জন্য কষ্টসাধ্য ছিল। তাই ওই সময় গাড়িগুলো কেউ নেননি। ফলে বিষয়টি এনবিআর ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে জানানো হয়। পরে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে গাড়িগুলোর ক্লিয়ারেন্স পারমিট (সিপি) ইস্যু করা হয়েছে। ফলে এখন খুব সহজেই গাড়িগুলো নিলামে বিক্রি করা যাবে।

কেএম/আইএসএইচ