‘হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবস্থিত বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইট ক্যাটারিং সেন্টারে (বিএফসিসি) কাজ করা এক ব্যক্তির মাধ্যমে সোনা চোরাচালান হবে’- এমন গোয়েন্দা তথ্য আসে ঢাকা কাস্টমস হাউসের কাছে।

তথ্য অনুযায়ী বিএফসিসিতে অভিযান চালাতে যায় কাস্টমস। কিন্তু বিমানের ক্যাটারিং সেন্টারে কোনোভাবেই প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছিল না। পরে দীর্ঘ সাত ঘণ্টা পর বিমানের ক্যাটারিং সার্ভিসের গেইটের সামনে থেকেই আটক করা হয় সোনা চোরাচালানে জড়িত ব্যক্তিকে।

আটক ব্যক্তি বিমানের ফ্লাইট ক্যাটারিং সেন্টারে কর্মরত মো. আব্দুল আজিজ আকন্দ। তার শরীরে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার করা হয় প্রায় আট কেজি সোনা।

বুধবার (২৫ মে) রাতে সোনা আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা কাস্টমস হাউসের উপ-কমিশনার মো. সানোয়ারুল কবির।

সানোয়ারুল কবির বলেন, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে দুপুর ১টার দিকে বিমানের ক্যাটারিং সেন্টারে প্রবেশ করতেই বাঁধার মুখে পড়তে হয়। দুটির একটি গেইট দিয়েও প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি কাস্টমস কর্মকর্তাদের। বিমানের ক্যাটারিং সেন্টার নানা টালবাহানা করে। এরপর জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা এনএসআই’র মাধ্যমে বিমানের ক্যাটারিং সেন্টারে প্রবেশ করে কাস্টমস কর্মকর্তারা।

তিনি বলেন, ক্যাটারিং সেন্টার থেকে জানানো হয়, আব্দুল আজিজ দুপুর ১টা ৪৯ মিনিটের দিকে অফিস থেকে বেরিয়ে গিয়েছেন।এরপর দুপুর থেকে বিমানের ক্যাটারিং অফিসের গেইটের সামনে কাস্টমসের দুইজন নজরদারি করতে থাকেন। রাত ৮টার দিকে আব্দুল আজিজ ক্যাটারিং অফিসের গেইটের সামনে আসেন। এসময় এনএসআই’র সহযোগিতায় কাস্টমস কর্মকর্তারা আব্দুল আজিজকে আটক করেন।

তিনি আরও বলেন, আটকের পর আব্দুল আজিজকে তল্লাশি করে তার কাছ থেকে কালো টেপ দিয়ে মোড়ানো পাঁচটি সোনার বারের বান্ডেল জব্দ করা হয়। যার আনুমানিক ওজন প্রায় ৮ কেজি। জব্দ হওয়া এই সোনার বাজারমূল্য প্রায় সাড়ে ৬ কোটি টাকা।

সানোয়ারুল কবির আরও বলেন, এই সোনা দুবাই ফেরত একটি উড়োজাহাজের মাধ্যমে দেশে আসে। আব্দুল আজিজের মাধ্যমে এগুলো পাচার হওয়ার কথা ছিল।

আটক ব্যক্তির বিরুদ্ধে ফৌজদারি আইন এবং কাস্টমস আইনে মামলা দায়ের করা হবে বলেও তিনি জানান।

এমএসি/এমএইচএস