গোপন তথ্য ছিল সিঙ্গাপুর থেকে কফি, চকলেট ও মিনারেল ওয়াটারের আড়ালে এসেছে অবৈধভাবে আমদানি করা বিলাসী সিগারেট। 

কাগজপত্রে ঘোষণাও ছিল। তবে বাস্তবে কনটেইনার খুলে পাওয়া গেল না কিছুই। কাঠ ও প্লাস্টিকের কিছু ক্যারেট ছাড়া পুরো কনটেইনার ছিল খালি।   

বৃহস্পতিবার (২৬ মে) পাঁনগাও শুল্ক স্টেশনে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের অভিযানে এমন ঘটনা ধরা পড়ল। সংস্থাটির রাজস্ব কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

শুল্ক গোয়েন্দা সূত্রে জানা যায়, কনটেইনারে সিগারেট আছে এমন গোপন খবরে কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের টিম অভিযানের প্রস্তুতি নেয়। জিম জিম করপোরেশন নামের আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের কনটেইনারটি দেখাতে বলা হয়। 

কিন্তু তারা কনটেইনারের বিষয়ে গড়িমসি শুরু করে। কাস্টমস কর্তৃপক্ষকে তারা অন্য একটি বিল অব এন্ট্রি দাখিল করে। যেখানে ঘোষিত পণ্যের স্থলে কফি মেট, চকলেট কোকো পাউডার, মিনারেল ওয়াটার ও বিনসের কথা উল্লেখ ছিল। 

তবে কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর কাছে যে বিল অব এন্ট্রির (নম্বর সি-২১৮৯) তথ্য ছিল, তা খুলে কিছু পাওয়া গেল না। কনটেইনার খুলে খালি ক্যারেট পাওয়া যায়, যেগুলো কাঠ ও প্লাস্টিকের।  

শুল্ক গোয়েন্দা মনে করছে, কয়েক কোটি টাকার সিগারেট ছিল কনটেইনারে। অসাধু কর্মকর্তাদের যোগসাজশে তা সরিয়ে ফেলা হয়েছে। অবৈধ এমন পণ্য আমদানির আড়ালে বড় অঙ্কের অর্থ পাচার হয়ে থাকতে পারে বলেও মনে করছে সংস্থাটি।

আরএম/আরএইচ