চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, চট্টগ্রাম নগরীর দু'চারজন মানুষের জন্য পুরো নগরবাসী যুগ-যুগ ধরে জলাবদ্ধতার ভোগান্তিতে পড়ে থাকে, এটা হতে পারে না। এখানকার সিংহভাগ মানুষ খাল-নালা-নর্দমা দখল করছে না। অল্পকিছু সংখ্যক মানুষ এতে জড়িত।

শনিবার (২৮ মে) দুপুরে চট্টগ্রাম নগরীর বরাইপাড়া খাল খনন কাজ পরিদর্শনের সময় তিনি একথা বলেন। ৬৫ ফুট প্রস্থ ও ২ দশমিক ৯ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের বরাইপাড়া খালের পুরো কাজ আগামী বছরের ডিসেম্বরে শেষ হবে বলেও উল্লেখ করেন মেয়র।

তিনি বলেন, চট্টগ্রাম নগরীর দু'চারজন মানুষের জন্য পুরো নগরবাসী যুগ-যুগ ধরে জলাবদ্ধতার ভোগান্তিতে পড়ে থাকে, এটা হতে পারে না। এখানকার সিংহভাগ মানুষ খাল-নালা-নর্দমা দখল করছে না। অল্পকিছু সংখ্যক মানুষ এতে জড়িত। আমি তাদের নিজ উদ্যোগে অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছি। অন্যথায় আমরা আইনগত ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হব।

মেয়র বলেন, নগরবাসীকে সচেতন হতে হবে যাতে নালা-নর্দমায় ময়লা-আবর্জনা না পড়ে। আমাদের গৃহস্থালী ময়লা-আবর্জনা যদি নালা-নর্দমায় না পড়ে তাহলে জলজট হওয়ার সম্ভাবনা কমে আসবে।

মেয়র আরো বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বিশ্বের অনেক উন্নত দেশেও জলজট সৃষ্টি হচ্ছে। এশিয়াকে বিশ্বের বৃহৎ জনসংখ্যার মহাদেশ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। বাংলাদেশ হচ্ছে এর মধ্যে অন্যতম এবং ভাটি এলাকা। এই বহুল জনগোষ্ঠীকে সচেতন করা ছাড়া যত বড় প্রকল্পই নেওয়া হউক কোনো কাজে আসবে না।

তিনি বরাইপাড়া খালের কাজ দ্রুত সম্পন্ন করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দিয়ে বলেন, প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রামবাসীর প্রতি আন্তরিক হয়ে সম্পূর্ণ সরকারি ব্যয় বরাদ্দ দিয়েছেন। এ প্রকল্প বাস্তবায়নে আমাদের সবাইকে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে এবং আন্তরিক হতে হবে। 

মেয়র আরো বলেন, চসিকের নিজস্ব উদ্যোগে নগরীর ছোট-বড় সব নালা-নর্দমা থেকে ময়লা-আবর্জনা ও মাটি উত্তোলন করে পরিষ্কার কার্যক্রম চালাচ্ছে। কিন্তু দুঃখ হলো পরিষ্কারের পরপরই জনসাধারণ নালায় পলিথিনসহ ময়লা-আবর্জনা ফেলে আবার ভরাট করছে।  আশা করি এলাকাবাসী এব্যাপারে সচেতন হবেন। নিজের ঘর-বাড়ির আঙ্গিনা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখবেন। নালা-নর্দমায় কোনো ধরনের ময়লা আবর্জনা ফেলা থেকে বিরত থাকবেন। 

খাল পরিদর্শনের সময় মেয়রের সঙ্গে ছিলেন ওয়ার্ড কাউন্সিলর এম. আশরাফুল আলম, সংরক্ষিত কাউন্সিলর শাহিন আক্তার রোজি, প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক, মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম ও প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী ফরহাদুল আলম প্রমুখ। 

কেএম/জেডএস