চট্টগ্রামের জোরারগঞ্জ থানার বারইয়ারহাট এলাকায় র‍্যাব সদস্যদের ওপর হামলার সময় খোয়া যাওয়া অপর অস্ত্রটিও উদ্ধার করা হয়েছে। রোববার (২৯ মে) ভোর ৫টার দিকে বারিয়ারহাট পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মহিউদ্দিন বাবুলের বাড়ির সামনে থেকে অস্ত্রটি উদ্ধার করা হয়েছে।

ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জোরারগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) খাইরুল আলম। তিনি বলেন, র‍্যাবের খোয়া যাওয়া দুটি অস্ত্রের মধ্যে একটি আগেই উদ্ধার করা হয়েছে। আরেকটি আজ উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার রাতে অজ্ঞাত একজন ফোন করে জানান অস্ত্রটি পৌরসভার বাবুলের বাড়ির সামনে রাখা আছে। খবর পেয়ে পুলিশ অস্ত্রটি উদ্ধার করে। অস্ত্রের সঙ্গে একটি চিরকুটও পাওয়া গেছে বলে জানান ওসি।

শনিবার (২৮ মে) এক মতবিনিময় সভায় জোরারগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুর হোসেন মামুন বলেন, মাদকবিরোধী অভিযানের সময় র‍্যাব সদস্যরা বারবার বলেছেন, তারা র‍্যাবের লোক। বারবার বলার পরও কেন তাদের ওপর হামলা বা আঘাত করা হলো? মারধরের পর অস্ত্র ছিনিয়ে নেওয়া হলো। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হারিয়ে যাওয়া অস্ত্র ফেরত দিতে হবে। তার এ ঘোষণার ২৪ ঘণ্টা না যেতেই অস্ত্রটি উদ্ধার হলো।

বুধবার (২৫ মে) সন্ধ্যা ৭টার দিকে চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ের বারইয়ারহাট পৌর বাজারে র‍্যাবের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। এতে র‍্যাবের দুই সদস্য গুরুতর আহত হয়েছেন। উন্নত চিকিৎসার জন্য হেলিকপ্টারে করে তাদের ঢাকার সিএমএইচে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় তিন মামলায় ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

র‍্যাব-৭ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এম এ ইউসুফ ঢাকা পোস্টকে বলেছিলেন, সাদা পোশাকে র‍্যাবের একটি দল তথ্য সংগ্রহের কাজে মিরসরাই গিয়েছিল। তাদের ওপর সংঘবদ্ধ একটি চক্র উদ্দেশ্যমূলকভাবে হামলা চালিয়েছে।

র‍্যাবের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, হামলার ঘটনায় আমাদের দুই সদস্য আহত হয়েছেন। পরে র‍্যাব ও পুলিশ গিয়ে তাদের উদ্ধার করে। উন্নত চিকিৎসার জন্য আহতদের ফেনীর ভাষা শহীদ সালাম স্টেডিয়াম থেকে হেলিকপ্টারে করে ঢাকার সিএমএইচে পাঠানো হয়েছে।

ওই দিন রাত সাড়ে ১২টার দিকে র‍্যাবের পাঠানো এক বার্তায় বলা হয়, র‍্যাবের একটি গোয়েন্দা দল সাদা পোশাকে মাদকের বিরুদ্ধে তথ্য সংগ্রহের জন্য চট্টগ্রামের বারইয়ারহাট এলাকায় যায়। র‍্যাব সদস্যদের উপস্থিতি টের পেয়ে মাদক কারবারিরা পরিকল্পিতভাবে ডাকাত ডাকাত বলে চিৎকার করে র‍্যাব সদস্যদের ওপর হামলা চালায়।

কেএম/এসএসএইচ