বাংলাদেশ-ভারত পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের সপ্তম যৌথ পরামর্শক কমিশন (জেসিসি) বৈঠক সোমবার (৩০ মে) নয়াদিল্লিতে হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে বৈঠকটি পিছিয়ে আগামী জুনের মাঝামাঝিতে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

কেন জেসিসি পেছানো হলো আসামের গৌহাটিতে নদী কনফারেন্স শেষে সোমবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সেই কারণ জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।

ড. মোমেন বলেন, আমাদের প্রস্তুতি ছিল। আমরা মনে করেছিলাম যে হয়ে যাবে। কিন্তু কিছু কিছু বিষয়ের প্রস্তুতি ছিল না। যেমন দুইপক্ষের যৌথ নদী কমিশনের (জেআরসি) বৈঠক এখনও হয়নি। এর বাইরে বাকি কয়েকটি ইস্যুর মধ্যে জ্বালানি বিষয়ে সহযোগিতা বিষয়ে এখনও দুইপক্ষের সচিব পর্যায়ের আলোচনা শেষ হয়নি। আর দ্বিতীয়ত্ব আমাদের মধ্যে এনার্জি এবং রেলওয়ে ইস্যুতেও আলাপ শেষ হয়নি।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এই কারণে আমরা উভয়পক্ষ আলোচনা করে জেসিসি বৈঠকটি পিছিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলাম। কেননা জেসিসি বৈঠকে সম্পর্কের সব ইস্যুতে আলোচনা হয়। কিন্তু যেহেতু কয়েকটি ইস্যুতে এখনও আলোচনা শেষ হয়নি তাই আমরা পিছিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেই। যেহেতু ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা হলো এবং জরুরি বিষয়গুলো নিয়ে আলাপ হয়েছে, তাই জেসিসি আমরা পিছিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেই।

আগামী জুনের ১৮ ও ১৯ তারিখ জেসিসি বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে বলেও জানান ড. মোমেন।

২০১২ সালে নয়াদিল্লিতে প্রথম জেসিসি বৈঠকে বসে বাংলাদেশ-ভারত। গত ১০ বছরে মোট ছয়বার জেসিসি হয়। সর্বশেষ ২০২০ সালে করোনা মহামারির মধ্যে ঢাকায় নেতৃত্বে জেসিসি ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত হয়। এরপর দুই দেশের করোনার প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় সপ্তম জেসিসি বৈঠক নিয়ে বার বার অনিশ্চয়তা দেখা যায়। প্রায় ১৮ মাস পরে সপ্তম বারের মতো বৈঠকে বসার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হলো। কিন্তু শেষ মুহূর্তে বৈঠকটি আবার পেছানো হলো।

এনআই/জেডএস