নেদারল্যান্ডসে প্রশিক্ষণে গিয়ে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) দুই কনস্টেবল ‘নিখোঁজে’র ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে আগামী পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। মঙ্গলবার এ কমিটি গঠন করা হয় বলে সিএমপি সূত্রে জানা গেছে।  

পালিয়ে যাওয়া দুই কনস্টেবল হলেন, শাহ আলম ও রাসেল চন্দ্র দে। কনস্টেবল শাহ আলমের বাড়ি কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থানার বদ্দির খিল এলাকায়। তার বাবা পেশায় রিকশাচালক। এছাড়া রাসেল ২০১৬ সালে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে যোগ দেন। তার বাড়ি কক্সবাজার পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের পলাইন্না কাটা গ্রামে এবং তার বাবা  ব্যবসায়ী। তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলে জানিয়েছে সিএমপির একটি সূত্র। 

সূত্রটি জানায়, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) (সদর) মো. শরিফুল এ ঘটনা তদন্ত করবেন। 

বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত এডিসি (সদর) মো. শরিফুল। তিনি বলেন, আমি তদন্ত শুরু করেছি। তদন্ত শেষ করে কমিটিকে পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। 

উল্লেখ্য, চট্টগ্রাম নগর পুলিশের কাউন্টার-টেররিজম ইউনিটের অধীনে একটি পূর্ণাঙ্গ ডগ স্কোয়াড ইউনিট খোলা হচ্ছে। আর সেই ইউনিটের কার্যক্রমের অংশ হিসেবে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের ৮ সদস্যের একটি দল গত ৯ মে বাংলাদেশ থেকে নেদারল্যান্ডসে যায়। কিন্তু প্রশিক্ষণ শেষ করে ফিরে আসার আগের দিন ২২ মে থেকে দুই কনস্টেবলের খোঁজ পাওয়া যায়নি। বাকি ছয় সদস্যের দলটি প্রশিক্ষণ শেষ করে গত ২৪ মে দেশে ফিরেছে।

এ বিষয়ে শুক্রবার চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার ( সদর) আমির জাফর বলেছিলেন, গত ৯ মে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের ৮ সদস্যের একটি দল কুকুরের ব্যবস্থাপনা, পরিচালনা ও প্রশিক্ষণ শীর্ষক ১৫ দিনব্যাপী প্রশিক্ষণে অংশ নিতে নেদারল্যান্ডসে যায়। কিন্তু দেশে আসার আগের দিন দুইজন কনস্টেবল ঘুরতে যাওয়ার কথা বলে বাইরে যান। এরপর থেকে তাদের খোঁজ মিলছে না। তারা ইচ্ছাকৃতভাবে পালিয়ে গেছেন নাকি কোনো বিপদে পড়েছেন তা এখনও জানা যায়নি, জানার চেষ্টা চলছে।

কেএম/এসকেডি