চট্টগ্রামের আকবর শাহ থানার নন্দন হাউজিং সোসাইটি এলাকা থেকে আন্তঃজেলা গ্রিল-সাটার কেটে চুরি করা চক্রের ছয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (৩ জুন) ভোরে একটি দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র, দুটি কার্তুজ, খেলনা পিস্তল ও ছোরাসহ তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। 

পুলিশ জানায়, ৮-৯ জনের এই চক্রটি চট্টগ্রাম জেলা ও মহানগরী, কুমিল্লা, ঢাকা, বরিশালসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিশেষ কৌশলে প্রায় ১০-১২ বছর ধরে দোকান, বাসত ঘরের তালা ভেঙে, সাটার কেটে ও ক্ষেত্র বিশেষে ওপরের টিন কেটে নগদ টাকাসহ মূল্যবান বিভিন্ন মালামাল চুরি করতেন।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- মো. অলি আহাম্মদ (৩৫), মো. জামাল (৩৭), মো. বাছির হোসেন বশির (৩২), মো. হাসান (৩২), মো. ইমরান হোসেন (২৮) ও মো. সোহাগ ওরফে ডেন্ডি সোহাগ (২৮)। 

আকবর শাহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ওয়ালি উদ্দিন আকবর ঢাকা পোস্টকে বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আকবর শাহ থানা এলাকায় ডাকাতির প্রস্তুতিকালে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে আগ্নেয়াস্ত্র, ছাতা, হাতুড়ি, স্ক্রু ড্রাইভার, তালা ভাঙ্গা ও সাটার কাটার কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।

তিনি বলেন, এই চোর চক্রে ৮ থেকে ৯ জন সদস্য রয়েছেন। তারা চট্টগ্রাম, ঢাকা, বরিশালসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিশেষ কৌশলে প্রায় ১০ থেকে ১২ ধরে চুরি করতেন। চক্রটি দোকান, বসত ঘরের তালা ভেঙে, সাটার কেটে ও ক্ষেত্র বিশেষে ওপরের টিন কেটে নগদ টাকাসহ বিভিন্ন মূল্যবান মালামাল চুরি করতেন। 

তাদের চুরি করার বর্ণনা দিয়ে ওসি বলেন, তারা পরনের লুঙ্গি দিয়ে চুরি করার স্থান আড়াল করে, কখনো বড় ছাতার সাহায্যে আড়াল করে চোখের পলকে তালা বা সাটার কেটে দিনের বেলায়ও চুরি করতেন। সম্প্রতি তারা নিজেদের সঙ্গে আগ্নেয়াস্ত্রও রাখতেন। ডাকাতির প্রস্তুতি নিয়ে বিভিন্ন স্থানে যেতেন। যাতে কৌশলে চুরি করতে ব্যর্থ হলে ডাকাতি করতে পারেন। 

তিনি বলেন, এই চোর চক্রের সদস্যদের প্রত্যেকের রয়েছে ভিন্ন ভিন্ন দায়িত্ব। কেউ রেকি করেন, কেউ তালা-সাটার কাটেন, কেউ লুঙ্গি বা বড় ছাতা দিয়ে তালা কাটার কাজে নিয়োজিত সদস্যকে আড়াল করে রাখেন। নির্বিঘ্নে চুরি নিশ্চিত করতে তাদের আশপাশে কোন মানুষ থাকলে তাদের সঙ্গে গল্প করতে থাকেন। তারা মাঝে মাঝে রিকশাচালকের বেশও ধারণ করতেন।

তাদের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। এরমধ্যে কয়েকজন বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে জেলে গেলেও জামিনে মুক্তি পেয়ে পুনরায় একই কাজে ফিরে যান। তাদের বিরুদ্ধে আকবরশাহ থানায় দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

কেএম/ওএফ