চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম ডিপোতে থাকা কনটেইনার থেকেই আগুন ধরেছে বলে ধারণা করছেন বিএম কন্টেইনার ডিপোর পরিচালক মুজিবুর রহমান। শনিবার রাতে সাংবাদিকদের তিনি একথা জানান। 

তিনি বলেন, কী কারণে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে এ বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে কনটেইনার থেকেই আগুন ধরেছে বলে ধারণা করছি। মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে হতাহতদের পাশে থাকব বলে ঘোষণা দিচ্ছি। আহতরা যাতে সর্বোচ্চ চিকিৎসা পায় সে ব্যবস্থা করা হচ্ছে। চিকিৎসার সম্পূর্ণ ব্যয়ভার আমরা বহন করব। 

বিএম কন্টেইনার ডিপোর পরিচালক বলেন, এ দুর্ঘটনায় যারাই হতাহত হয়েছে তাদেরকে সর্বোচ্চ ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। পাশাপাশি সব হতাহতের পরিবারের দায়িত্ব নেওয়া হবে। প্রশাসন যেভাবে সিদ্ধান্ত দেবে সেভাবেই সহায়তা করা হবে। মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে সবাই পাশে থাকুন।

চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিস কন্ট্রোল রুমের ডিউটি অফিসার এম এ কফিল উদ্দীন ঢাকা পোস্টকে বলেন, ঘটনাস্থলে আমাদের ১৩টি ইউনিট কাজ করছিল। ফায়ার ফাইটাররা কাছ থেকে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছিলেন। তখনই বিস্ফোরণ ঘটে। এ পর্যন্ত ২১ জন ফায়ার ফাইটারের আহত হওয়ার খবর এসেছে। তাদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। গুরুতর আহত কয়েকজনকে সিএমএইচে নেওয়া হচ্ছে। আহতের সংখ্যা বাড়তে পারে। কনটেইনারে রাসায়নিক ছিল বলে আমরা ধারণা করছি। তবে ঠিক কী রাসায়নিক ছিল, সে সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পারিনি। আহত কয়েজনের অবস্থা গুরুতর।

সর্বশেষ খবর অনুযায়ী, চট্টগ্রামের বিএম কনটেইনার ডিপোতে আগুনে চারজন মৃত্যু হয়েছে,  দেড় শতাধিকের ওপরে আহত হয়েছেন।

কেএম/আইএসএইচ