চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারী এলাকায় বিএম কনটেইনার ডিপোতে আগুনের ঘটনায় দগ্ধ ৩ জনকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে আনা হয়েছে। রোববার (৫ জুন) সকালে তাদের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়। 

দগ্ধরা হলেন, খালেদুর রহমান (৫৮), অবসরপ্রাপ্ত পুলিশের এএসপি এ কে এম মাকফারুল ইসলাম (৬৫) ও উপ-পরিদর্শক (এসআই) কামরুল ইসলাম (৩৭)।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. এসএম আইউব হোসেন।

তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ তিনজন আমাদের এখানে এসেছেন। এদের মধ্যে খালেদুর রহমানের ১২ শতাংশ ফ্লেম বার্ন, একেএম মাকফারুল ইসলামের ১২ শতাংশ ফেস বার্ন রয়েছে। এছাড়া কামরুল ইসলামকে অপারেশন থিয়েটারে পাঠানো হয়েছে। তার শরীরের ৪ শতাংশ ফেস বার্ন ও পলি ট্রমাসহ বাঁ পায়ের পাতা কেটে গেছে। তাদের মধ্যে খালেদুর রহমানকে জরুরি বিভাগে (বেড নং-১৭), কামরুল ইসলামকে (বেড নং-১) চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া একে এম মাকফারুল ইসলামকে মেল হাই ডিফেন্স ইউনিটের (এইচডিইউ) বেড নং-১ এ পাঠানো হয়েছে।

আহত এসআই কামরুল ইসলামের ভাই জিনাস ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমার ভাই সীতাকুণ্ডের শিল্পাঞ্চল থানার পুলিশের এসআই হিসেবে কর্মরত। রাতে উদ্ধার অভিযানে গেলে বিস্ফোরণের সময় তিনি গুরুতর আহত হন। তার মুখ পুড়ে যায় ও পায়ের হাঁটুর নিচের প্লেন সিট জাতীয় কোন কিছু এসে পড়ে গুরুতর আহত হন। ভাইয়ের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা চলছে।

দগ্ধ একেএম মাকফারুল ইসলামের স্ত্রী নাজমা ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমার স্বামী পুলিশের এসপি ছিলেন।২০১১-১২ সালে তিনি অবসরে যান। বর্তমানে তিনি বিএম কন্টেইনার ডিপোতে সিকিউরিটি ম্যানেজার হিসেবে চাকরি করেন। তিনি এইচডিইউতে চিকিৎসাধীন আছেন।

দগ্ধ খালেদুর রহমানের স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমার স্বামী বিএম কন্টেইনার ডিপোতে সিকিউরিটি এডমিন হিসেবে চাকরি করতেন। গতকাল রাতে বিস্ফোরণে দগ্ধ হন। বর্তমানে জরুরি বিভাগে চিকিৎসাধীন আছেন।

এসএএ/এসকেডি