চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডের ১৯ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও মালিকপক্ষের কারো দেখা মেলেনি। রোববার বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত কেউই আসেননি ঘটনাস্থলে। অথচ এ ঘটনায় বহু হতাহতের ঘটনা ঘটে গেছে। 

রোববার (৫ জুন) বিকেলে ডিপোর মেইন গেটে কর্তব্যরত নিরাপত্তাপ্রহরী শহিদুল আলম ঢাকা পোস্টকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

তিনি বলেন, ঘটনার পর থেকে আমি এই গেটে দায়িত্ব পালন করছি। মালিকদের কাউকে আসতে দেখিনি। হয়তো পরিস্থিতির কারণে তারা আসতে পারেননি। তবে মালিকের হয়ে বিভিন্ন লোকজন হতাহতদের খোঁজ-খবর নিচ্ছেন।  

তিনি বলেন, আগুন লাগার পর ডিপোতে কাজ করা মানুষজন মোবাইলে ছবি তুলছিলেন। আগুন লাগার প্রায় ঘণ্টাখানেক পরে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। অন্যদের সঙ্গে আমিও দাঁড়িয়ে ছিলাম। কিন্তু বিস্ফোরণের মাত্র দুই মিনিট আগে আমি সেখান থেকে চলে আসি। আল্লাহ আমাকে রক্ষা করেছেন।

শনিবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে ডিপোতে লাগা আগুন রোববার বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণ করা যায়নি। সর্বশেষ (বিকেল সাড়ে ৪টা) পাওয়া খবর অনুযায়ী আগুনে পাঁচ ফায়ার ফাইটারসহ ৪৯ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন দুই শতাধিক। 

এদিকে সকাল ১০টার দিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাইন উদ্দিন। তিনি উপস্থিত সাংবাদিকদের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলেন। 

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাইন উদ্দিন অভিযোগ করে বলেন, অগ্নিকাণ্ডের পর থেকে মালিকপক্ষ কাউকে পাচ্ছি না। মালিকদের কাউকে পেলে আমরা জানতে পারতাম কোন কনটেইনারে কী আছে। এটা আমাদের জানা নেই। এজন্য উদ্ধার কাজে বেগ পেতে হচ্ছে।

মহাপরিচালক আরও বলেন, আমরা এখনো ভেতরে পুরোপুরি ঢুকতে পারছি না। এ ঘটনায় ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি করা হয়েছে।

দুপুর ১২টার দিকে বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম শাজাহান ঘটনাস্থল পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের বলেন, এ ডিপো যারা পরিচালনা করছেন, তাদের আমরা খুঁজে পাচ্ছি না। তারা ফায়ার ব্রিগেডকে গাইড করতে পারবে কোথায় কোন কন্টেইনার আছে। 

অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাস্থল বিএম কনটেইনার ডিপোর মালিক স্মার্ট গ্রুপ। এই গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুজিবুর রহমান। তিনি চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ বলে জানা গেছে।

কেএম/আরএইচ