চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারী এলাকায় বিএম কনটেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দগ্ধ আরও ৪ জনকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে আনা হয়েছে।

রোববার (৫ জুন) দুপুর ২টা থেকে বিকেল পৌনে ৬টা পর্যন্ত আরও চার জনকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়। তারা হলেন- বিএম ডিপো ইমপোর্ট সুপারভাইজার শেখ মাইনুল হক (৪১), শ্রমিক আমিন (২২), কনটেইনারের গাড়িচলক মোহাম্মদ রাসেল (৩৯) ও ফারুক হোসেন (৪৫)।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. এসএম আইউব হোসেন।

তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ আরও ৪ জন আমাদের এখানে এসেছেন। এদের মধ্যে শেখ মাইনুল হকের শরীরের ১৮ শতাংশ কন্টাক্ট বার্ন ও ফেস বার্ন, সঙ্গে আই ইনভলবমেন্ট আছে। আমিন ও ফারুক হোসেনকে জরুরি বিভাগে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। রাসেল নামে একজনকে ঢাকা মেডিকেলে রেফার্ড করা হয়েছে। 

এর আগে আমাদের এখানে আরও তিনজন এসেছেন। তাদের মধ্যে খালেদুর রহমান ১২ শতাংশ ফ্লেম বার্ন, একেএম মাকফারুল ইসলাম ১২ শতাংশ ফেস বার্নসহ দগ্ধ হয়েছেন। এছাড়া এসআই কামরুল ইসলামের শরীরের ৪ শতাংশ ফেস বার্ন ও পলি ট্রমাসহ  বাম পায়ের পাতা কেটে গেছে। খালেদুর রহমানকে জরুরি বিভাগে (বেড নং-১৭), কামরুল ইসলামকে (বেড নং-১) চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। একে এম মাকফারুল ইসলামকে পুরুষ হাই ডিফেন্স ইউনিটের (এইচডিইউ) বেড নং-১ এ পাঠানো হয়েছে।

দগ্ধ মাইনুলকে নিয়ে আসা খালাতো ভাই আতাউর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমার ভাই বিএম কনটেইনার ডিপো ইনচার্জ সুপারভাইজারের পদে চাকরি করতেন। গতকাল রাতে আগুনে সে দগ্ধ হয়।

দগ্ধ শ্রমিক আমিনকে নিয়ে আসা চাচা সেলিম রেজা ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমরা বিএম কনটেইনার ডিপো থেকে কার্টন ওঠানামা করার শ্রমিকের কাজ করি। গতকাল রাত ১১টার দিকে আমাদের ডিউটি ছিল। পরে আমাদের ফোন করে সরদার বলে ডিউটিতে আসতে হবে না। এরপরে আমি খবর পাই আমিন আহত হয়েছে। পরে তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করে সেখান থেকে আজ বিকেলে তাকে এখানে নিয়ে এসেছি।

দগ্ধ গাড়িচালক রাসেলের ভাই মো. রবিউল ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমার ভাই রাসেল ও ফারুক দুজনেই কনটেইনারের গাড়ি চালক হিসেবে চাকরি করে। গতকালের ঘটনায় তারা দুজন দগ্ধ হয়। 

এসএএ/জেডএস