চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারী এলাকায় বিএম কনটেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দগ্ধ ফায়ার ফাইটার রবিন মিয়া (২২) ও গাউসুল আজমকে (২২) নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) পাঠানো হয়েছে। এছাড়া নজরুল মন্ডল (৩৮) নামে আরও একজনকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসা হয়েছে।

সোমবার (৬ জুন) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে তাকে শেখ হাসিনা বার্নের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. এস এম আইউব হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, বিএম কন্টেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণের ঘটনায় সকালে নজরুল ইসলাম মন্ডল নামে আরও একজন এখানে এসেছে। তার শরীরের ২০ শতাংশ ফ্লেইম বার্ন হয়েছে।

তিনি বলেন, রাতেই ফায়ার ফাইটার রবিন মিয়া ও গাউসুল আজমকে আইসিইউতে পাঠানো হয়েছে। রবিন মিয়ার শরীরের ৬০ শতাংশ ফ্লেইম বার্ন ও শ্বাসনালীতে ক্ষত হয়েছে। গাউছুল আজমের শরীরের ৭০ ফ্লেইম বার্ন রয়েছে। এছাড়া এ কে এম মাকফারুল ইসলামকে মেল এইচডিইউতে রাখা হয়েছে। এখন পর্যন্ত আমাদের এখানে ১৫ জন এসেছেন। তাদের মধ্যে একজনকে ঢাকা মেডিকেলে রেফার্ড করা হয়েছে।

শনিবার (৪ জুন) রাত সাড়ে ৯টার দিকে সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারী এলাকার বিএম কনটেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, এ দুর্ঘটনায় ৪৯ জন নিহত ও ২ শতাধিক আহত হয়েছেন।

ঘটনার পর ফায়ার সার্ভিসের ১৫টি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। পরবর্তীতে ইউনিট আরও বাড়ানো হয়। সবশেষ তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে ফায়ার সার্ভিসের ৯টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।

এদিকে রোববার (৫ জুন) সকাল থেকে রাত পর্যন্ত দগ্ধ ১৪ জন শেখ হাসিনা বার্নে এসেছেন। তারা হলেন— খালেদুর রহমান (৫৮), অবসরপ্রাপ্ত পুলিশের এএসপি ও বিএম ডিপোর সিকিউরিটি ম্যানেজার এ কে এম মাকফারুল ইসলাম (৬৫) ও উপ-পরিদর্শক (এসআই) কামরুল ইসলাম (৩৭), বিএম ডিপোর ইমপোর্ট সুপারভাইজার শেখ মাইনুল হক (৪১), শ্রমিক আমিন (২২), কনটেইনারের গাড়িচালক মো. রাসেল (৩৯) ও ফারুক হোসেন (৪৫), ফায়ার ফাইটার গাউসুল আজম (২২) ও রবিন মিয়া (২২), ইঞ্জিনিয়ার মাসুম মিয়া (৩৪), রিসিভার ফরমানুল ইসলাম (৩০), রুবেল মিয়া (৩৪), ফারুক (১৬) ও হোসেন মহিবুল্লাহ (২৭)।

এসএএ/এসএসএইচ