চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এ পর্যন্ত ফায়ার সার্ভিসের নয় সদস্য নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে আটজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। আরেকজনের মরদেহ উদ্ধার করা হলেও তার পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

সোমবার বিকেলে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (মিডিয়া) শাহজাহান সিকদার ঢাকা পোস্টকে বলেন, ফায়ার সার্ভিসের মোট ১২ জন সদস্য নিখোঁজ ছিলেন। এর মধ্যে নয়টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আটজনের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেলেও পুড়ে অঙ্গার হওয়া একজনের নাম-পরিচয় সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পারিনি আমরা।

তিনি আরও বলেন, উদ্ধার হওয়ার মরদেহগুলোর সঙ্গে তাদের ছবি মেলানো হচ্ছে। তবে চারজনের ছবি কোনো মরদেহের সঙ্গেই মিলছে না।

বর্তমানে ফায়ার সার্ভিসের নিখোঁজ চার সদস্য হলেন ফায়ার ফাইটার রবিউল ইসলাম, ফরিদুজ্জামান, শফিউল ইসলাম ও লিডার মো. ইমরান হোসেন মজুমদার।

পরিচয় মিলেছে যাদের

১. কুমিরা ফায়ার স্টেশনের ফায়ার ফাইটার রানা মিয়া, মানিকগঞ্জ

২. কুমিরা ফায়ার স্টেশনের নার্সিং অ্যাটেনডেন্ট মনিরুজ্জামান, কুমিল্লা

৩. কুমিরা ফায়ার স্টেশনের ফায়ার ফাইটার আলাউদ্দিন, নোয়াখালী

৪. কুমিরা ফায়ার স্টেশনের ফায়ার ফাইটার শাকিল তরফদার

৫. কুমিরা ফায়ার স্টেশনের লিডার মিঠু দেওয়ান, রাঙামাটি 

৬. সীতাকুণ্ড ফায়ার স্টেশনের লিডার নিপন চাকমা, রাঙামাটি

৭. সীতাকুণ্ড ফায়ার স্টেশনের ফায়ার ফাইটার রমজানুল ইসলাম, শেরপুর

৮. সীতাকুণ্ড ফায়ার স্টেশনের ফায়ার ফাইটার সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী, ফেনী

শনিবার (৪ জুন) রাত সাড়ে ৯টার দিকে সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারী এলাকার বিএম কনটেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, এ দুর্ঘটনায় ৪১ জন নিহত ও দুই শতাধিক আহত হয়েছেন। 

আহতদের চট্টগ্রাম মেডিকেলসহ আশপাশের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বিস্ফোরণে নিহত অনেকের পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি। তাই তাদের পরিচয় শনাক্তে স্বজনদের ডিএনএ-এর নমুনা সংগ্রহ শুরু হয়েছে। সোমবার সকালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ইমার্জেন্সি কেয়ারের সামনে নমুনা সংগ্রহ শুরু করা হয়েছে।

এআর/আরএইচ