সরকারের পক্ষ থেকে ৪০ ভাগ তেল স্থানীয়ভাবে উৎপাদন করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক। মঙ্গলবার (৭ জুন) সচিবালয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ে এক সভার শুরুতে সাংবাদিকদের তিনি এ তথ্য জানান।

মন্ত্রী বলেন, ৪০ ভাগ তেল আমরা স্থানীয়ভাবে উৎপাদন করার পরিকল্পনা নিয়েছি। এ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে ভোজ্য তেলের সংকট কেটে যাবে।

মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আমরা এখন যে পরিমাণ তেল উৎপাদন করি, এটা আমাদের মোট প্রয়োজনের মাত্র ১০ থেকে ১২ ভাগ। গত বছর আমরা ১৬ হাজার কোটি টাকার ভোজ্যতেল আমদানি করেছি। এ বছর করোনা এবং ইউক্রেন যুদ্ধর কারণে তেলের দাম অস্বাভাবিক বেড়েছে। মানুষের কষ্ট হচ্ছে। এ বছর ১০ মাসেই ২০ হাজার কোটি টাকার তেল আমরা আমদানি করেছি। আগামী ২ মাসে এটি ২৪-২৫ হাজার কোটিতে চলে যাবে। এগুলো বিবেচনায় নিয়ে আগামী ৩ থেকে ৪ বছরে কীভাবে তেলের উৎপাদন বাড়ানো যায় এবং কতটা বাড়ানো যায় তা নিয়ে কাজ করা হচ্ছে।

মন্ত্রী বলেন, আমরা ৩ বছরের একটি পরিকল্পনা করেছি। তবে আমরা ধানের উৎপাদনও ব্যাহত করতে চাই না।

গত ১০ বছর ধরে দেশের বিজ্ঞানীরা অনেক উৎপাদনশীল জাত উদ্ভাবন করেছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরিষার আগের জাত, সাধারণত ৭০০ কেজি তেল উৎপাদন করতে পারে, টরী সেভেন। আমাদের বিজ্ঞানীরা নতুন যে জাত উৎপাদন করেছে সেটার উৎপাদন ২ টনেরও বেশি, প্রায় ৩ গুণ।

আমন ধানের যে নতুন জাতগুলো রয়েছে সেগুলো ১১০ থেকে ১১৫ দিনের মধ্যে পেকে যায় জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, সময় কমে আসায় যে নতুন ধান আসবে সেটা কাটার পর সেখানে সরিষা লাগানো হবে। সেটা আসবে ৮০ থেকে ৮৫ দিনে। এটা কাটার পরে সেই জমিতে আমরা বোরো ধান রোপণ করব। এতে সরিষাটা একটা অতিরিক্ত ফসল হবে। এই প্যাটার্ন ব্যবহার হয় এমন জমির পরিমাণ ২০ লাখ হেক্টর। ২৫ শতাংশেও যদি আমরা সরিষা দিতে পারি তাহলেও কিন্তু বিরাট উৎপাদন বাড়ানো যাবে। এক বিঘা জমিতে কৃষক ৩০-৪০ হাজার টাকা অতিরিক্ত আয় করতে পারবে।

মন্ত্রী বলেন, এটাকে আমরা কর্মসূচি হিসেবে প্ল্যান করেছি। এটাকে আমরা মাঠ পর্যায়ে নিয়ে যাব। এজন্য বীজ, সারসহ যে প্রযুক্তি আছে সেটা দিয়ে আমরা বাস্তবায়ন করতে চাই। 

এসএইচআর/এসকেডি