দুঃখে কাঁদবেন না হাসবেন বুঝতে পারছেন না আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল ইসলাম।

মঙ্গলবার একাদশ জাতীয় সংসদের অষ্টাদশ অধিবেশনে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের বিচারক (ছুটি, পেনশন ও বিশেষাধিকার) বিল, ২০২২ উত্থাপন করলে তার বিরোধিতা করেন বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট হারুনুর রশীদ। এরই পরিপ্রেক্ষিতে তিনি এ মন্তব্য করেন। 

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ‘...স্পিকার দুঃখে কাঁদব না হাসব আমি ঠিক বলতে পারছি না। তার কারণ আমাদের সংসদ সদস্য আপনার মাধ্যমে আমাকে যে জ্ঞান দিলেন এই জ্ঞান না হয় আমার কাজে লাগবে। কিন্তু ওনার কতটুকু কাজে লেগেছে আমি ঠিক জানি না। তার কারণ আমি বলি।’

তিনি বলেন, ‘উনি বললেন মানুষ যেন বিচার পায়। ১৯৭৫ সালে ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পরে তার পরিবারের ১৭ জন সদস্যসহ পুরো জাতির বিচার পাওয়ার সুযোগ ছিল? ছিল না। ওনারা হয়ত এখন বলবেন, কী বলবেন আমি বলি, ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্স করে বিচার পাওয়া বন্ধ করেছিলেন। আজকে উনি আমাকে বিচার শেখাচ্ছেন।’

মন্ত্রী বলেন, ‘ওনারা হয়ত বলবেন ওইটা করেছিল খন্দকার মোশতাক। ক্ষমতায় ছিলেন ১৯৭৫ সালের নভেম্বরের ৭ থেকে ১৯৮১ সাল পর্যন্ত। জানুয়ারি মাসের ইলেকশনের পরে মার্চে ১৯৯১ সালে থেকে ১৯৯৬ সালের ৩০ মার্চ পর্যন্ত। ক্ষমতায় ছিলেন ২০০১ সাল থেকে ২০০৬ সালের অক্টোবর পর্যন্ত। ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্স তুলেছিলেন ওনারা? তুলেননি। বিচার শেখান এখন আমাকে।’  

তিনি বলেন, ‘আমি এখন বলতে পারি যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পরে বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচার শুরু করেছেন। জেল হত্যার বিচার শুরু করেছেন। ১৯৭১ সালে যারা মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছে, তাদের বিচার করেছেন। আইনের শাসন বলে এইভাবে বিচার করতে। সেই জন্যই আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা হয়েছে। সেই জন্য সাহস করে এখন বিচারপতিদের বেতন, প্রিভিলেজেস বাড়ানোর প্রস্তাব আনতে পেরেছি।’

মন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা করে রেখেছিলেন অর্ডিন্যান্স। এখন সেটা জনগণের রায়ের উপর দিয়ে এই সংসদে আইন করা হচ্ছে। আপনারা আমাকে শেখান বিচার। আমি ওনাকে বলতে চাই, যে এই সব জ্ঞান যেন ওনাদের মিটিংয়ে দেন। আমাদের দেওয়ার দরকার নেই।’

এইউএ/এসকেডি