আক্তার হোসেন কাভার্ড ভ্যানচালক। চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণের সময় উপস্থিত ছিলেন। সেই সময়কার চিত্র পরিবারের সদস্যদের ভিডিও কলে দেখাচ্ছিলেন। এমন সময় হঠাৎ মোবাইল সংযোগ বন্ধ হয়ে যায়। এরপর থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত তার সন্ধান মেলেনি।

ছেলে আক্তারের খোঁজে আজ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে বসা ছিলেন সত্তরোর্ধ্ব নুরুল আমিন। বুকে নিখোঁজ ছেলে মোহাম্মদ আক্তারের ছবি। 

এ সময় তিনি বলেন, শনিবার চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণের আগে কথা হয়েছিল ছেলে মোহমদ আক্তারের সাথে। এরপর থেকে তার মোবাইল বন্ধ। বিভিন্ন হাসপাতালে খুঁজছি। ঘটনার প্রায় তিন দিন হয়ে গেলেও আমার আক্তারের সন্ধান পাইনি।

তিনি বলেন, ছেলেকে খুঁজে পেতে ডিএনএ পরীক্ষার জন্য রক্ত দিয়েছি। তারা বলছে একমাস পরে জানতে পারব ফলাফল।

২০ বছর বয়সী আক্তারের বাড়ি চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার পুঁইছড়ি ইউনিয়নের নাপোড়া এলাকায়। হাসপাতালে পিতার সঙ্গে ভাইয়ের খোঁজে এসেছিলেন বোন মুন্নি আক্তারও।

তিনি বলেন, ৩ দিনেও ভাইকে খুঁজে পাইনি। ঢাকা ও চট্টগ্রামের বিভিন্ন হাসপাতালে হাসপাতালে ঘুরেও ভাইয়ের সন্ধান করতে পারিনি। তাই আজ দুপুরে ডিএনএ নমুনা জমা দিয়েছি। 

মুন্নি আক্তার বলেন, আমার সঙ্গে ভাইয়ের সর্বশেষ কথা হয়েছিল ৩০ মে। আর যেদিন আগুন লাগে সেদিন মায়ের সঙ্গে কথা হয়েছিল। আগুন লাগার দৃশ্যটি সে ভিডিও কলের মাধ্যমে প্রথমে মাকে দেখিয়েছিল। এরপর আর তার খোঁজ পাওয়া যায়নি। জীবিত না পাই ভাইয়ের লাশটাও অন্তত যেন পাই- এটাই চাওয়া আমার।

সিআইডির ফরেনসিক ডিপার্টমেন্টের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম জানান, আজ ৪ জনের ডিএনএ নমুনা নেওয়া হয়েছে। 

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বিএম ডিপোতে অগ্নিকাণ্ড ও বিস্ফোরণে ৯ ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তাসহ ৪৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।

কেএম/এসকেডি