পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী দিনে দলের নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। 

তিনি বলেছেন, পদ্মা সেতুর উদ্বোধন নিয়ে অনেক ঘটনা ঘটছে। জানি না চট্টগ্রামের কনটেইনার ডিপো তারই একটা অংশ কি না। পদ্মা সেতুর উদ্বোধনকে সামনে রেখে নাশকতা করার ষড়যন্ত্র আছে। ষড়যন্ত্র আছে উদ্বোধনী দিন একটা ঘটনা ঘটানোর জন্য। তারা কিন্তু মরিয়া হয়ে চেষ্টা করবে, আমাদের সাবধান থাকতে হবে। সবাই সতর্ক থাকবেন। যাতে শত্রুরা ভেতরে ঢুকে কোনো অন্তর্ঘাত করতে না পারে। 

বুধবার (৮ জুন) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে সেতু বিভাগ আয়োজিত পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে মতবিনিময় সভায় তিনি এ নির্দেশ দেন।

খুলনা ও বরিশাল বিভাগ, বৃহত্তর ফরিদপুর ও মুন্সিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের নেতা ও নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

ওবায়দুল কাদের বলেন, পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কী হবে তা আমি জানি না, তবে জনতার ঢল নামবে। মানুষ পদ্মা সেতু দেখতে আসবে এবং শেখ হাসিনা কেও দেখতে হবে। পদ্মা সেতু শেখ হাসিনার অসীম সাহসের ফসল। তার সততা ও সাহসের প্রতীক। বাঙালি জাতির অহংকারের প্রতীক।

তিনি বলেন, বিশ্ব ব্যাংক আমাদের দুর্নীতি ও চুরির অপবাদ দিয়ে পদ্মা সেতুর অর্থায়ন থেকে সরে গিয়েছিল। বিশ্বব্যাংক যে অপমান করেছে, তা গোটা বঙ্গবন্ধু পরিবারকে অপমান করেছে। আমাদের জাতির ভাবমূর্তিকে অপমান করেছে। তাই আমি বলব পদ্মাসেতু আমাদের সামর্থ্য ও সক্ষমতার নয়, পদ্মা সেতু আমাদের অপমানের প্রতিশোধ। আজ বিশ্ব ব্যাংক বলছে পদ্মা সেতু থেকে সরে গিয়ে তারা ভুল করেছে।

মন্ত্রী বলেন, মনে রাখবেন ২৫ তারিখে কোনো গাড়ি পদ্মা সেতুর উপর দিয়ে যাবে না। ২৬ তারিখ সকাল থেকে টোল দিয়ে পদ্মা সেতুতে যান চলাচল করতে পারবে। আগের দিন কিছু সময়ের জন্য হয়ত খোলাও হতে পারে। সেটা এখনও শিওর না। পায়ে হেঁটে হয়ত যাতায়াত করতে পারবে, এটার জন্য সময়সীমা দেওয়া হবে, সে চিন্তা-ভাবনা চলছে।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফরুল্লাহ, শেখ হেলাল, শাজাহান খান, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, জাতীয় সংসদের হুইপ নূর-ই আলম চৌধুরী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, এসএম কামাল হোসেন, আফজাল হোসেন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আব্দুস সোবহান গোলাপ, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, পানিসম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম প্রমুখ।

এমএইচএন/জেডএস