পারমাণবিক শক্তির শান্তিপূর্ণ ব্যবহারে পারমাণবিক শিল্পের প্রশিক্ষণ ও শিক্ষা ক্ষেত্রে সহযোগিতা এবং কূটনৈতিক বিনিময় কর্মসূচি বিষয়ে দুটি সমঝোতা স্মারক সই করেছে বাংলাদেশ ও হাঙ্গেরি।

মঙ্গলবার (৭ জুন) বুদাপেস্টে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন ও হাঙ্গেরির পররাষ্ট্র ও বাণিজ্যমন্ত্রী পিটার সিজার্তোর দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে দুই মন্ত্রী নিজ নিজ দেশের পক্ষে এমওইউ সই করেন।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, বৈঠকে তারা অর্থনৈতিক সহযোগিতা, স্বাস্থ্য, জলবায়ু পরিবর্তন, পানি ও বর্জ্য-জল ব্যবস্থাপনা, পোস্ট-গ্রাজুয়েশন সুবিধা, পারমাণবিক শক্তি এবং কোভিড-পরবর্তী পুনরুদ্ধারসহ বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সম্পর্ক গভীর করতে সম্মত হয়েছেন।

বৈশ্বিক জলবায়ু আলোচনায় বাংলাদেশের নেতৃত্বের ভূমিকার কথা উল্লেখ করে ড. মোমেন প্যারিস জলবায়ু চুক্তি বাস্তবায়নে আরও সহায়তার জন্য হাঙ্গেরিকে অনুরোধ করেছেন। দুই মন্ত্রী নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে সহযোগিতা করতে সম্মত হন। তারা পারমাণবিক শক্তির ক্ষেত্রে ভবিষ্যৎ সহযোগিতার পথ নিয়ে আলোচনা করেন। কারণ বাংলাদেশ এবং হাঙ্গেরি উভয়ই নিজ নিজ নতুন পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য একই প্রযুক্তি ব্যবহার করছে। পারমাণবিক শক্তি পেশাদারদের প্রশিক্ষণ ও শিক্ষার বিষয়ে একমত হয়েছেন মোমেন-সির্জাতো।

এ সময় হাঙ্গেরির পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, ঢাকায় হাঙ্গেরির কনস্যুলার অফিস এখন থেকে পূর্ণাঙ্গ কনস্যুলার সুবিধা দেবে। উভয় মন্ত্রীই অদূর ভবিষ্যতে ঢাকা ও বুদাপেস্টে আবাসিক মিশন খোলার আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।

ড. মোমেন হাঙ্গেরির নবনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবানকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি বিশেষ বার্তা মন্ত্রী সিজার্তোর কাছে হস্তান্তর করেন। দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী ২০২২ সালের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী অরবানের বাংলাদেশে একটি সম্ভাব্য সফর নিয়ে কাজ করতে সম্মত হয়েছেন।

বৈঠকে তারা হাঙ্গেরিয়ান স্কলারশিপ (স্টিপেনডিয়াম হাঙ্গারিকাম) প্রোগ্রামের কাঠামোর মধ্যে সফল চলমান সহযোগিতার জন্য সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন। যার আওতায় হাঙ্গেরি তাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর অধ্যয়নে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের প্রতি বছর ১৪০টি বৃত্তি প্রদান করে।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বর্তমানে হাঙ্গেরি সফরে রয়েছেন। তিনি সুইডেন থেকে দেশটি সফরে যান।

এনআই/এসকেডি