মার্কিন নেতৃত্বাধীন অর্থনৈতিক জোট আইপিইএফে যোগ দেওয়ার বিষয়ে বাংলাদেশ পর্যালোচনা করছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। রোববার (১১ জুন) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ তথ্য জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

ড. মোমেন বলেন, আইপিইএফে চারটি বিষয়ের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। সেগুলো হলো, সাপ্লাই চেইন ঠিক রাখা, তথ্য ব্যবস্থাপনা, দুর্নীতি এবং মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ এবং ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে অবাধ ও ন্যায্য বাণিজ্য। আমরা বিষয়গুলো পর্যালোচনা করছি।

মোমেন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের উন্নয়নের জন্য কখনোই আপস করেন না। আর জাতীয় স্বার্থে তার দৃঢ় অবস্থানের সবচেয়ে বড় উদাহরণ হলো পদ্মা সেতু। আমরা খুব খুশি যে আমাদের খুব শক্তিশালী নেতৃত্ব রয়েছে। আমরা দেশের ভালোর জন্য যা করতে পারি তা করব।

গত বুধবার চীনের বাজারে বাংলাদেশের প্রবেশাধিকার বিষয়ে আয়োজিত এক সেমিনারে ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং আইপিইএফ নিয়ে বাংলাদেশকে সতর্ক করেছেন। নতুন এই জোটের বিষয়ে বাংলাদেশের সরকার ও জনগণ বিচক্ষণতার পরিচয় দেবে—এমনটা প্রত্যাশাও ব্যক্ত করেছেন চীনা রাষ্ট্রদূত।

আইপিইএফ নিয়ে চীনের আপত্তির বিষয়ে জানতে চাইলে ড. মোমেন বলেন, ঢাকা এই  ফোরামে যোগ দেবে কি না, সে বিষয়ে বিভিন্ন দেশের পর্যবেক্ষণ থাকতে পারে। আমরা অন্যদের কাছ থেকেও উপদেশ শুনব, শুনতে তো ক্ষতি নেই। তবে আমরা শুধু আমাদের জাতীয় স্বার্থ রক্ষা করে যা করার করব।

এনআই/এসকেডি