নদী ভাঙনের প্রধান কারণ হিসেবে অবৈধভাবে বালি উত্তোলনকেই দায়ী করছেন পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক। বর্তমানে বালি উত্তোলনের রমরমা ব্যবসা চলছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

সোমবার (১৩ জুন) সচিবালয়ে গণমাধ্যম কেন্দ্রে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ) আয়োজিত ‘বিএসআরএফ সংলাপ’ এ অংশ নিয়ে তিনি এ কথা জানান। এতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি তপন বিশ্বাস আর সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হক।

প্রতিমন্ত্রী জানান, নদী ভাঙনের বিভিন্ন কারণ আছে। এরমধ্যে সবচেয়ে বড় কারণ বালি উত্তোলন। এই ব্যবসা এখন রমরমা। রাতের অন্ধকারে নদীর কিনারা থেকে বালি উঠায়। এমন হলে লোহা দিয়ে বাধ দিলেও কিন্তু বাঁধ থাকবে না, এটা আমি বলেছি।

তিনি জানান, আমরা বালি উঠানো বন্ধ করতে চাচ্ছি না। কিন্তু নির্দেশনা দিচ্ছি। যেখান থেকে উঠানোর কথা বলছি যাতে সেখান থেকেই উঠানো হয়। বালি উত্তোলনের ক্ষেত্রে আমরা একটা নীতিমালা করছি, যা মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে আছে। এক্ষেত্রে আমরা চাই বালি যাতে রাতে উত্তোলন না হয়।

বালি উত্তোলনের বিষয়ে লেখনীর মাধ্যমে সাংবাদিকদের সোচ্চার হতে এসময় আহ্বান জানান জাহিদ ফারুক।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, এ পর্যন্ত ১৭ হাজার কিলোমিটার বাঁধ আমরা নির্মাণ করেছি। অতীতে যারা এ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলেন, তারা ভাঙন এলাকায় কম গেছেন। আমি বিভিন্ন জায়গায় নিজেই গিয়েছি এবং দেখেছি।

তিনি বলেন, আগের মন্ত্রীদের আমি দোষারোপ করব না। কারণ বাংলাদেশ আগে অতোটা অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী ছিল না।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমি এক জায়গায় তিন থেকে চারবারও গিয়েছি। নদী ভাঙন সহনীয় পর্যায়ে আনার চেষ্টা করছি। প্রতিদিন খবরের কাগজ দেখি। কোন কোন এলাকায় ভাঙন তা খবর নেই এবং তাৎক্ষণিকভাবে নির্দেশনা দেই। আমাদের উপমন্ত্রীও বিভিন্ন জায়গায় যান।

একটা সময় ছিল পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে শুক্র-শনিবার পরিদর্শনে যাওয়া হতো না-এ তথ্য জানিয়ে তিনি বলেন, কিন্তু আমি নিজেই যাওয়া শুরু করেছিলাম। এরপর বাকিরাও যায়। এখন এলাকা ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। আমরা আগ্রহ সৃষ্টি করতে পেরেছি।

এসময় বিএসআরএফের সহ-সভাপতি মোতাহার হোসেন, যুগ্ম সম্পাদক মেহেদী আজাদ মাসুম, অর্থ সম্পাদক মো. শফিউল্লাহ সুমন, কার্যনির্বাহী সদস্য ইসমাইল হোসাইন রাসেল, হাসিফ মাহমুদ শাহ, শাহাদাত হোসেন (রাকিব), মো. রুবায়েত হাসান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। 

এসএইচআর/এমএইচএস