চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে লাগা আগুনে আহতদের আর্থিক সহায়তা দিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) অধ্যয়নরত সীতাকুণ্ডের শিক্ষার্থীরা।

সোমবার (১৩ জুন) সন্ধ্যায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন ১৯ জন রোগীর স্বজনদের হাতে নগদ প্রায় ৬০ হাজার টাকা তুলে দেন শিক্ষার্থীরা।

এ সময় ঢাকা ইউনিভার্সিটি স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন অব সীতাকুণ্ড’র (ডুসাস) সভাপতি বোরহান উদ্দিন ফয়সাল, সাধারণ সম্পাদক রকি হাসানসহ ডুসাসের অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

ডুসাস সভাপতি বোরহান উদ্দিন ফয়সাল বলেন, বিএম ডিপোর বিস্ফোরণের পরদিন থেকেই আমরা রোগীদের জন্য রক্ত, অ্যাম্বুল্যান্স এবং চিকিৎসার খরচসহ বিভিন্নভাবে হতাহতদের পাশে থাকার চেষ্টা করেছি। এরপর থেকে আমরা তাদের পাশে আর্থিক সহায়তা দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছি। আমাদের ডুসাসের শ্রদ্ধেয় এলামনাইদের কন্ট্রিবিউশনে আমরা আজকের এই প্রোগ্রাম করার সাহস পেয়েছি। সীতাকুণ্ডের মাটি ও মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞতাবোধ থেকেই আমরা এই সংকটে সর্বোচ্চ চেষ্টা করে পাশে থাকছি। হতাহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি।

সাধারণ সম্পাদক রকি হাসান বলেন, সীতাকুণ্ডে ঘটে যাওয়া বিস্ফোরণের পর মর্মান্তিকভাবে যারা হতাহত হয়েছেন তাদের সহায়তায় আমরা শুরু থেকেই বিভিন্ন ভাবে সহযোগিতা করে আসছি, ডুসাসের ধারাবাহিক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে আজ ১৯টি পরিবারের পাশে দাঁড়াতে পেরে আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সীতাকুণ্ডের শিক্ষার্থীরা গর্বিত। যে কোনো সময়ই সীতাকুণ্ডের মানুষের পাশে আমরা পাশে থাকবো ইনশাআল্লাহ।

উল্লেখ্য, গত ৫ জুন রাত সাড়ে ৯টার দিকে চট্টগ্রাম শহর থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে সীতাকুণ্ডের কদমরসুল এলাকায় বিএম কনটেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। আগুন লাগার ঘণ্টাখানেকের মধ্যে ভয়ংকর এক বিস্ফোরণ ঘটে সেখানে। এতে আগুন ছড়িয়ে পড়ে ডিপোটির বিভিন্ন জায়গায়।

এ ঘটনায় প্রথম দুই দিনে দমকলকর্মীসহ ৪১ জন মারা যান। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কয়েকজনের মৃত্যু হয় এবং ডিপোতে কয়েকটি দেহাবশেষ পাওয়া যায়। সব মিলিয়ে মারা যাওয়া মানুষের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৯ জনে। এই অগ্নিকাণ্ডে আহত হয়েছেন দুই শতাধিক মানুষ।

এইচআর/আইএসএইচ