প্রস্তাবিত ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের বাজেটে দেশ থেকে বিভিন্ন উপায়ে পাচার হওয়া অর্থ বৈধ করার সুযোগ দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। কর দিয়ে এসব অর্থ বৈধ হয়ে গেলে এর বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারবে না কর বিভাগসহ যেকোনো কর্তৃপক্ষ। তবে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিষয়ে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানালেন দুদক সচিব মো. মাহবুব হোসেন। 

মঙ্গলবার (১৪ জুন) দুদকের প্রধান কার্যালয় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা জানান।

দুদক সচিব বলেন, পাচারকৃত অর্থ ফেরতের বিষয়ে বাজেটে কি ধরনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে ও সরকার কি আদেশ দেয় তা না দেখে মন্তব্য করা যাবে না। তাছাড়া মানিলন্ডারিং আইনের সংশোধন করার পর দুদক শুধুমাত্র সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অনুসন্ধান ও তদন্ত করতে পারবে। বাকিগুলো অন্যান্য সংস্থা দেখতেছে। দুর্নীতি দমন কমিশন আইন দ্বারা সৃষ্ট একটি প্রতিষ্ঠান, সংস্থাটি আইনের আলোকেই ব্যবস্থা নেবে।

পাচার করা অর্থের বিষয়ে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ এলে অবশ্যই দুদক আইন অনুসারে ব্যবস্থা নেবে বলেও জানান তিনি।

গত ৯ জুন জাতীয় সংসদের পাচার করা অর্থের বিষয়ে প্রস্তাবিত বাজেটে অর্থমন্ত্রী বলেন, প্রস্তাবিত বিধান অনুযায়ী বিদেশে অবস্থিত যেকোনো সম্পদের ওপর কর পরিশোধ করা হলে আয়কর কর্তৃপক্ষসহ যেকোনো কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে কোনো প্রশ্ন উত্থাপন করবে না। বিদেশে অর্জিত স্থাবর সম্পত্তি বাংলাদেশে আনা হলে এর ওপর ১৫ শতাংশ, বিদেশে থাকা অস্থাবর সম্পত্তি দেশে আনা হলে ১০ শতাংশ ও দেশে পাঠানো (রেমিট্যান্স) নগদ অর্থের ওপর ৭ শতাংশ হারে করারোপের প্রস্তাব করেন তিনি। এ সুবিধা ২০২২ সালের ১ জুলাই থেকে ২০২৩ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত বলবৎ থাকবে। প্রস্তাবিত বিধান কার্যকর হলে অর্থনীতির মূল স্রোতে বৈদেশিক মুদ্রার প্রবাহ বৃদ্ধি পাবে, আয়কর রাজস্ব আহরণ বাড়বে।

‘কোভিডের অভিঘাত পেরিয়ে উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় প্রত্যাবর্তন’ স্লোগান নিয়ে ২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকার বাজেট উপস্থাপন করা হয়েছে জাতীয় সংসদে। 

আরএম/ওএফ