কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) নির্বাচন উপলক্ষে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়নি, খোলা রাখা হয়েছে অফিস-আদালত। অন্যদিকে, সবকিছু খোলা থাকলেও নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বন্ধ রাখা হয়েছে যান চলাচল। এতে করে ভোগান্তিতে পড়েছেন সিটি করপোরেশন এলাকার কর্মজীবী মানুষেরা। ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকেও তারা কর্মক্ষেত্রে যাওয়ার কোনো যানবাহন পাচ্ছেন না।

বুধবার (১৫ জুন) সকালে কুসিক এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, কর্মক্ষেত্রে যেতে রাস্তার মোড়ে মোড়ে ব্যাগ হাতে দাঁড়িয়ে আছেন শহরবাসী। অপেক্ষায় আছেন যানবাহনের। সাংবাদিকদের গাড়িসহ যেকোনো যানবাহন দেখলেই হাত দিয়ে ইশারা করছেন। কিন্তু কোনো সুযোগ না পেয়ে অনেকে হেঁটেই রওনা হয়েছেন।

এদিকে নির্বাচনী এলাকায় যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকলেও, বাইরের এলাকায় কিছু সংখ্যক অটোরিকশা ও সিএনজি চলাচল করতে দেখা গেছে।

পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সরকারি ব্যাংক কর্মকর্তা ঢাকা পোস্টকে বলেন, এই দুর্ভোগের কথা কাকে বলব? নির্বাচন উপলক্ষে গাড়ি বন্ধ, কিন্তু বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানই খোলা। সরকারি চাকরি করি, সিদ্ধান্তও সরকারের। আধাঘণ্টা হলো দাঁড়িয়ে আছি। ব্যাংকে যেতে কোনো গাড়ি পাচ্ছি না। মাঝে মাঝে ২/১টি রিকশা আসে, তাও খালি পাওয়া যায় না। যাওয়ার কোনো সুযোগই নেই।

শহরের বাসিন্দা আলী হোসেন বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মিয়া বাজারে কর্মস্থল। এখান থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরে। একটি সিএনজিও পাচ্ছি না। প্রায় একঘণ্টা দাঁড়িয়ে আছি।

এদিকে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোটের দিন যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কিংবা স্থাপনা কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হবে সেগুলো ছাড়া অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানে ছুটি থাকবে না বলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিধি-৪ শাখার এক প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে।

কুসিক নির্বাচন উপলক্ষে ভোটের এলাকায় সোমবার (১৩ জুন) রাত ১২টা থেকে ৭২ ঘণ্টার জন্য মোটরসাইকেল চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দেয় নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এছাড়া ভোটের দিন অন্যান্য যন্ত্রচালিত যান চলাচলও ২৪ ঘণ্টার জন্য বন্ধ রাখা হয়েছে। ইসির উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান এ নির্দেশনা বাস্তবায়নের জন্য গত ৩১ মে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগের সচিবকে চিঠি দেন। সেই চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

বলা হয়েছে, ১৩ জুন দিবাগত রাত ১২টা থেকে ১৬ জুন দিবাগত রাত ১২টা পর্যন্ত মোটরসাইকেল চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে। তবে এই নিষেধাজ্ঞা রিটার্নিং অফিসারের অনুমতি সাপেক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী/তাদের নির্বাচনী এজেন্ট, দেশি/বিদেশি পর্যবেক্ষকদের (পরিচয়পত্র থাকতে হবে) ক্ষেত্রে শিথিলযোগ্য হবে।

এমএইচএন/এমএইচএস