রাজধানীর নীলক্ষেত এলাকায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান পরিচালনা করছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি)।

বৃহস্পতিবার (১৬ জুন) দুপুরে এই উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়।

অভিযান বিষয়ে নিউমার্কেট থানার উপ-পরিদর্শক মেহেদী হাসান ঢাকা পোস্টকে বলেন, নীলক্ষেত এলাকায় দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উচ্ছেদ অভিযান শুরু করেছেন। কোনো প্রকার বাধা ছাড়াই তারা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিও স্বাভাবিক রয়েছে।

ডিএসসিসি আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা উপ-সচিব মেরীনা নাজনীন ও সম্পত্তি কর্মকর্তা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সিনিয়ির সহকারী সচিব মো. মুনিরুজ্জামানের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।

অভিযানস্থলে দেখা যায়, নীলক্ষেতের সিটি করপোরেশন রোড সাইট মার্কেটের সম্মুখভাগে ও ওপরে নকশা বহির্ভূত অনুমোদনহীন দোকান ও ভেতরের বাকুশাহ মার্কেটের প্রবেশ পথের সামনে গড়ে তোলা দোকান ভেঙে দেওয়া হয়েছে।

এরমধ্যে ১২ নম্বরের বইয়ের দোকান, ২৬ নম্বরের মোবারক বিরানী হাউস, ২৭ নম্বরের নীলক্ষেত রয়েল তেহারি হাউস সম্পূর্ণ ভেঙে দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও ৩৭ নম্বর দোকানের পরের প্রবেশপথের অস্থায়ী দোকানগুলোও উচ্ছেদ করা হয়।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় এক দোকানি বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই এই দোকানগুলো অবৈধভাবে এখানে ব্যবসা পরিচালনা করছে। এগুলো সিটি করপোরেশনের নকশাবহির্ভূত হওয়ায় ভাড়াও সিটি করপোরেশন পেত না। একটি প্রভাবশালী মহল নিজেদের একক আধিপত্যে এসব দোকানের স্থায়ী কাঠামোর নির্মাণ করে ভাড়া দিয়ে আসছিল।

বিষয়টি স্বীকারও করেন উচ্ছেদ হওয়া রয়েল তেহারি হাউজের স্বত্বাধিকারী মোহর আলী। ঢাকা পোস্টকে তিনি বলেন, সরকারের সম্পদ সরকার নিয়েছে, তাতে আমাদের কিছু বলার নেই। কোনো অভিযোগ নেই।

এই দোকানের জন্য সিটি করপোরেশনকে ভাড়া দিতেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ভাড়ার প্রশ্নই আসে না। এটি অবৈধ অংশ, সরকারি রাস্তা। অবৈধ অংশের ভাড়া দেওয়ার প্রশ্নই উঠে না।

তাহলে কোন ক্ষমতা বলে এখানে দোকান পরিচালনা করতেন এমন প্রশ্নের আর তিনি কোনো উত্তর তিনি দেননি।

ডিএসসিসির সম্পত্তি কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সিনিয়ির সহকারী সচিব মো. মুনিরুজ্জামান ঢাকা পোস্টকে বলেন, সিটি করপোরেশনের নকশাবহির্ভূত যেসব দোকান ছিল, সেগুলো মেয়রের নির্দেশে আমরা ভেঙে দিয়েছি। এখানে ৪৯টি বৈধ দোকান রয়েছে।

আরএইচটি/এমএইচএস