সিলেটে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে টিটু চৌধুরী নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। তিনি বন্যা নিয়ে কয়েক দিন ধরে লোকজনকে সতর্ক করে আসছিলেন এবং বন্যার্ত মানুষের সাহায্যে এগিয়ে আসতে অন্যদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছিলেন।  

এক প্রতিবেদনে এ খবর নিশ্চিত করেছে বিবিসি বাংলা।

সিলেটের শাহপরান থানা বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছে, শহরের শাপলাবাগ এলাকার অধিবাসী টিটু চৌধুরী নিজ বাড়িতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা গেছেন।

বিদ্যুৎপৃষ্ট হওয়ার পর তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল। তবে সেখানে নেওয়ার আগেই তিনি মৃত্যুবরণ করেছেন বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।

টিটু চৌধুরীর ঘনিষ্ঠ ও রাজনৈতিক সহকর্মী আলম খান মুক্তি জানান, বাসার ভেতরে বন্যার পানি ঢুকে পড়ার পর টিটু চৌধুরী বাসা ছাড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। পানিতে দাঁড়িয়েই তিনি টিভির বৈদ্যুতিক প্লাগ খোলার চেষ্টা করছিলেন। 

এ সময় হঠাৎ করে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে পড়েন তিনি। তাৎক্ষণিকভাবে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। কিন্তু সেখানে পৌঁছানোর আগেই তার মৃত্যু হয়। 

সিলেট ও সুনামগঞ্জ অঞ্চলে বন্যা ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন লাখ লাখ মানুষ। এ দুই জেলায় প্রায় ৩০ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে প্রশাসনের হিসাবে বলা হচ্ছে।

বন্যার পানিতে তলিয়ে সুনামগঞ্জ শহর পুরো দেশ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। সিলেট অঞ্চলের প্রত্যন্ত উপজেলাগুলোর অবস্থা আরও ভয়াবহ বলে স্থানীয়রা বলছেন। পরিস্থিতি মোকাবিলায় ও দুর্গতদের উদ্ধারে ইতোমধ্যেই কাজ শুরু করেছে সেনাবাহিনী।

সুনামগঞ্জের দিরাই ও শাল্লা উপজেলার বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে গত দুদিনে বহুবার ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে সবার সহযোগিতা চাচ্ছিলেন টিটু চৌধুরী। আজ সকাল ১১টা ১৪ মিনিটে ‘সিলেট ছাড়তে রেলস্টেশনে মানুষের হিড়িক’- এমন একটি সংবাদ শেয়ার করেছিলেন তিনি।

সিলেট শহরের অন্য জায়গার মতো মধ্য শাপলাবাগেও পানি বেড়েছে। পানি বাড়তে থাকায় বৃদ্ধ মাকে নিয়ে বাসা ছাড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তিনি। তার বাসার সামনেই বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে পড়ে ছিল। বাসা ছাড়ার আগমুহূর্তে বাসার ভেতরে পানিতে দাঁড়িয়ে টিভির সুইচ খুলে রাখার সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যান টিটু চৌধুরী।

আরএইচ