কুমিল্লা-৬ আসনের সংসদ সদস্য বাহাউদ্দিন বাহার কোনো আইন ভঙ্গ করেননি বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।

কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) নির্বাচন পরবর্তী এক মতিবিনিময় সভায় সোমবার (২০ জুন) নির্বাচন ভবনে তিনি এ কথা জানান।এসময় নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আহসান হাবীব খান, বেগম রাশেদা সুলতানা, মো. আলমগীর ও ইসি সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার উপস্থিত ছিলেন।

কুসিক ভোটে স্থানীয় এমপি আকম বাহাউদ্দিন বাহারের বিরুদ্ধে প্রচার চালানোর অভিযোগ উঠলে তাকে এলাকা ছাড়ার নির্দেশ দেয় ইসি। কিন্তু তিনি এলাকা না ছেড়ে বরং ইসি এখতিয়ার বহির্ভূত চিঠি দেওয়ার যুক্তি তুলে হাইকোর্টে রিট করেন। এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে ইসি।

আরও পড়ুন : কুমিল্লা সিটি নির্বাচনে কোনো বিপর্যয় দেখিনি : সিইসি

সিইসি বলেন, ‘বাহাউদ্দিন সাহেব কোনো আইন ভঙ্গ করেননি। নিয়ম ভঙ্গ করেননি। অভিযোগ আসছিল তিনি গোপনে প্রচারণা চালাচ্ছেন। তাই তাকে অনুরোধ করেছি। অনুরোধ করলে তিনি রাখতেও পারেন, নাও রাখতে পারেন। বিনীতভাবে অনুরোধ আর নির্দেশ এক করে দেখার সুযোগ নেই। তবে উনি চলে গেলো হয়ত ভালো হতো।’

তিনি বলেন, ‘আমরা প্রায় শুনছি তাকে নির্বাচন কমিশন থেকে আদেশ করা হয়েছে এলাকা ত্যাগ করার। কিন্তু আমরা তন্ন তন্ন করে খুঁজেছি নির্বাচন কমিশন থেকে কখনই একজন নির্বাচিত সংসদ সদস্যকে এলাকা ত্যাগ করার আদেশ করা হয়নি। আমরা তাকে প্রকাশ্যে প্রচারণায় অংশ নিতে দেখিনি। কিন্তু কেউ কেউ বলছেন, উনি কৌশলে অংশ নিয়েছেন। আমাদের একটা প্রত্যাশা ছিল, ওনাকে যদি রিকোয়েস্ট করি, তাহলে আর কথা উঠবে না।’

সিইসি বলেন, ‘নির্বাচনী আচরণবিধি অনুযায়ী তিনি (বাহার) সরকারি সুবিধাভোগী অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু নির্বাচন কমিশন সংসদ সদস্য কেন, কোনো সাধারণ মানুষকেও তার এলাকা ত্যাগ করার আদেশ দিতে পারে না। আমরাও বাহাউদ্দিনকে এলাকা ত্যাগ করার কোনো আদেশ করিনি। তাকে বিনীতভাবে অনুরোধ করেছিলাম, সেই চিঠি আছে। কিন্তু চারদিকে ছড়িয়ে গেলো আদেশ করার পরও তিনি প্রতিপালন করতে পারলেন না। এ কথাটি পুরোপুরি সত্য নয়।’

তিনি বলেন, ‘একজন প্রভাবশালী মন্ত্রী গিয়েছিলেন, তাকে এক ঘণ্টার মধ্যে এলাকা ত্যাগ করাতে পেরেছিলাম। হয়তো তিনি পেরেছেন, সেটা ভিন্ন কথা। সেক্ষেত্রে সেই মন্ত্রী ছিলেন বহিরাগত। আর বাহাউদ্দিনের ওটা স্থায়ী ঠিকানা। একজন মানুষ তার বাড়িতে থাকতে পারবে না তা তো নয়। আমরা একটু বিনীতভাবে অনুরোধ করেছিলাম, হয়ত উনি ডিস্টার্ব করছেন বা কৌশলে প্রচারণা করছেন। সেজন্য তাকে অনুরোধ করা হয়েছিল। আমরা আইন কানুন দেখে চিঠি দিয়েছিলাম। এজন্য ব্যক্তিকে তার এলাকা থেকে বহিষ্কার করার এখতিয়ার নির্বাচন কমিশনের নেই।’

এসআর/এসএম