নিবন্ধিত ৩৯টি রাজনৈতিক দলকে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) বিষয়ে মতামত দেওয়ার সুযোগ দিচ্ছে নির্বাচন কমিশন। এজন্য তিন ধাপে দলগুলোকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে ইসি। আমন্ত্রণে অংশ নিতে দ্বিতীয় ধাপে মঙ্গলবার (২১ জুন) ইসিতে যাচ্ছে ১৩টি রাজনৈতিক দল।

ইসির জনসংযোগ পরিচালক এসএম আসাদুজ্জামান জানান, আজ দ্বিতীয় ধাপে ১৩টি রাজনৈতিক দলকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। বিকেল ৩টায় দলগুলোর সঙ্গে ইভিএম বিষয়ক আলোচনা হবে। 

তিনি জানান, এর আগে প্রথম ধাপে গত ১৯ জুন ১৩টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে। আজকের পর ২৮ জুন তৃতীয় ধাপে ১৩টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলকে আমন্ত্রণ জানানো হবে। 

ইভিএম নিয়ে ইতিমধ্যে দেশ সেরা প্রযুক্তিবিদদের সঙ্গে বৈঠক করে মতামত নিয়েছে ইসি। আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করতে চায় নির্বাচন কমিশন। তবে তার আগে সবার মতামত নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংস্থাটি।

ইসির হাতে বর্তমানে ১ লাখ ৫৪ হাজার ইভিএম রয়েছে, যা দিয়ে সর্বোচ্চ ১০০ আসনে ভোট করা যাবে। ৩০০ আসনে এই ভোটযন্ত্র ব্যবহার করতে হলে আরো তিন লাখের মতো মেশিনের প্রয়োজন।

আজ যেসব রাজনৈতিক দল আমন্ত্রণ পেয়েছে

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি-এনপিপি, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি, ইসলামী ঐক্যজোট, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট, খেলাফত মজলিস ও বাংলাদেশ মুসলিম লীগ-বিএমএল।

ইসির আমন্ত্রণে ১৯ জুন যারা আলোচনায় অংশ নিয়েছিল 

জাতীয় পার্টি, জাতীয় পার্টি-জেপি, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি-বিজেপি, জাকের পার্টি, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ, গণফোরাম, গণফ্রন্ট, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট-বিএনএফ, জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন এনডিএম ও বাংলাদেশ কংগ্রেস।

২৮ জুন যারা ইসিতে আসার আমন্ত্রণ পেয়েছে

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন, বাংলাদেশের সাম্যবাদী দল-এমএল, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এলডিপি, গণতন্ত্রী পার্টি, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি, বিকল্প ধারা বাংলাদেশ, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি ও বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট।

এসআর/জেডএস