ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেছেন, নগর পরিবহনের সংখ্যা ও পরিধি বাড়ছে। এগুলোর কানেক্টিভিটি হয়ে গেলে ই-টিকিটিং সিস্টেম থেকে র‍্যাপিড পাস প্রযুক্তির উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। গণপরিবহনের জন্য হবে র‍্যাপিড পাস।

আজ (মঙ্গলবার) ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) নগর ভবনের বুড়িগঙ্গা হলে বাস রুট রেশনালাইজেশন কমিটির ২৩তম সভা শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

আতিকুল ইসলাম বলেন, ঢাকা নগর পরিবহনের পরিধি বাড়ছে তাই মেট্রোরেল থেকে নেমে গণপরিবনে ওঠার পর বা গণপরিবহন থেকে মেট্রোরেলে, নৌযানে যাত্রীরা যাতে এক র‍্যাপিড পাস ব্যবহার করেই চলাচল করতে পারেন সেই উদ্যোগ আমরা নিচ্ছি। বাস রুট রেশনালাইজেশনের আজকের মিটিংয়ে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। র‍্যাপিড পাসের জন্য ঢাকা নগর কর্তৃপক্ষ-ডিটিসিএ কে এই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তারা এ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন তৈরি করে আগামী মিটিংয়ে আমাদের জানাবেন।

মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ঢাকা শহরে গাড়ির চাপ কমাতে গাবতলী, মহাখালী, সায়েদাবাদ-যাত্রাবাড়ী টার্মিনালগুলো কিভাবে বাইরে নিয়ে যাওয়া যায় বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। ভুলতা, কেরানীগঞ্জ, কাঁচপুর এই তিন স্থানে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের অন্যদিকে ঘাঁটাচর, গ্রাম ভাটুরিয়া এবং হেমায়েতপুরে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের বাসগুলোর টার্মিনাল, ডিপো করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।

সভায় সভাপতিত্ব করেন বাস রুট রেশনালাইজেশন কমিটির সভাপতি এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। এতে আরও উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী, বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট করপোরেশনের চেয়ারম্যান মো. তাজুল ইসলাম, রাজউক চেয়ারম্যান মো. আনিসুর রহমান মিয়া, ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের নির্বাহী পরিচালক নীলিমা আখতার, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. মুনিবুর রহমান, গণপরিবহন বিশেষজ্ঞ ড. এস এম সালেহ উদ্দিন, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্লাহ, ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি আজমল উদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।

এএসএস/এনএফ