সরকার পাহাড়ে অবৈধ বসবাসকারীদের পুনর্বাসনের উদ্যোগ নিচ্ছে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. আশরাফ উদ্দিন।

মঙ্গলবার (২১ জুন) চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ে পাহাড় ব্যবস্থাপনা কমিটির ২৪তম সভায় বিভাগীয় কমিশনার এ কথা জানান। 

মো. আশরাফ উদ্দিন বলেন, সরকার লাখ লাখ ঘর তৈরি করে দিয়েছে দরিদ্র লোকদের বসবাসের জন্য। পাহাড়ের মধ্যে যারা বসবাস করছে, যাদের ঘরবাড়ি নেই, সরকার তাদের পুনর্বাসনের উদ্যোগ নিচ্ছে।

তিনি বলেন, পাহাড়ে বসবাসকারীদের তালিকা তৈরির কাজ শেষ হবে আগামী এক মাসে। এরপর সরকার বরাদ্দ দিলে জমি খুঁজে সেখানে পুনর্বাসনের জন্য ঘর তৈরি করে দেওয়া হবে। 

বিভাগীয় কমিশনার বলেন, চট্টগ্রামের বিভিন্ন পাহাড়ে অবৈধভাবে বসবাসকারীদের বিদ্যুতের কিছু সংযোগ আছে। সেগুলো কীভাবে অপসারণ করা যায়, তা আমরা চিন্তা-ভাবনা করছি। আগামী বৈঠকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। 

তিনি বলেন, বিদ্যুৎ সংযোগসহ সুযোগ-সুবিধা যত কমিয়ে দেওয়া যাবে, ততই পাহাড়ে মানুষ বসবাস করতে নিরুৎসাহিত হবে। এক পর্যায়ে ধীরে ধীরে পাহাড় ছেড়ে চেলে যাবে। পাহাড়ে বিদ্যুৎ না পেলে দীর্ঘদিন অবস্থান করা যাবে না। কারণ, সেখানে পানি তোলা থেকে শুরু কওরে দৈনন্দিন জীবনের বেশিরভাগ কাজই বিদ্যুতের ওপর নির্ভরশীল। 

তিনি আরও বলেন, পাহাড়ে বসবাস সম্পূর্ণ অবৈধ ও ঝুঁকিপূর্ণ। ইতোমধ্যে ২০০ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে।  যেসব সংস্থার পাহাড় থেকে স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে, তাদের বলেছি নতুন করে কেউ যেন বসতি স্থাপন করতে না পারে, সে ব্যবস্থা নিতে। 

বিভাগীয় কমিশনার বলেন, পাহাড়ে অবৈধভাবে দখলের নেপথ্যে কারা, তাদের তালিকা আমার হাতে নেই। পেছনে কারা কাজ করছে, তা তদন্ত ছাড়া বের করা কঠিন। তবে অবৈধভাবে বসবাসকারীদের সংখ্যাটা আছে। এ তালিকা জেলা প্রশাসকের কাছে আছে। অবৈধ বসবাসকারীদের তালিকা হালনাগাদ করার চেষ্টা করছি। আগামী এক মাসের মধ্যে হালনাগাদ তালিকা তৈরির কাজ শেষ হবে বলে আশা করছি।  

সভায় বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী (খুলশী) মো. শাহ রেওয়াজ মিয়া বলেন, এমনও দেখেছি মতিঝর্ণা এলাকায় ৩০ থেকে ৩৫ বছর ধরে লোকজন বসবাস করছেন। তারা বিদ্যুতের সংযোগ চান। একজন সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে আমাদের রাজস্বের কথাও ভাবতে হচ্ছে। 

কেএম/আরএইচ