ইরাকে দুই বাংলাদেশি প্রবাসীকে অপহরণের পর নির্যাতন করার ভিডিও তাদের পরিবারের কাছে পাঠায় একটি চক্র। সেই ভিডিও পাঠিয়ে সাত লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়।

মুক্তিপণ না দিলে হত্যার হুমকি দেয় চক্রটি। পরে আতঙ্কিত হয়ে চক্রটির বাংলাদেশি সদস্যদের কাছে বিকাশে ২ লাখ টাকা মুক্তিপণ দেয় ভুক্তভোগী প্রবাসীদের পরিবার।

গোপন নজরদারিতে শেষ পর্যন্ত চক্রটির বাংলাদেশি দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট। পাশাপাশি দুই ভুক্তভোগীকেও উদ্ধার করা হয়েছে। এখন তারা ইরাকের বাংলাদেশ দূতাবাসের হেফাজতে রয়েছেন।

সোমবার রাজধানীর মতিঝিল থেকে ইমরান হোসেন (২৭) ও নারায়ণগঞ্জের জালকুড়ি বাজার এলাকা থেকে আলমগীর হোসেন (৩০) নামে দুজনকে গ্রেপ্তার করে সিটিটিসি। চক্রের মূলহোতা শফিকুল বর্তমানে ইরাকে অবস্থান করছেন। গ্রেপ্তাররা তার নির্দেশেই বাংলাদেশে কাজ করছিলেন।

বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) সিটিটিসির অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) তোহিদুল ইসলাম এ খবর জানিয়েছেন। তিনি বলেন, মুক্তিপণ পাঠানোর বিকাশ নম্বরের সূত্র ধরে এ চক্রের বাংলাদেশি দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ছাড়া ইরাকে এ চক্রের দ্বারা অপহৃত দুই ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করা হয়েছে। তারা এখন ইরাকে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের হেফাজতে রয়েছেন।

সিটিটিসি জানায়, গত ১৪ জুন ইরাকের বাগদাদ শহর থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের আপেল আলী ও গাইবান্ধার শের আলীকে অপহরণ করে চক্রটি। পরে চক্রটির মূল হোতা শফিকুলের নির্দেশে মুক্তিপণের টাকা গ্রেপ্তার দুজন বিভিন্ন ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা রাখেন।

সিটিটিসি আরও জানায়, চক্রটিতে বাংলাদেশি নাগরিক ছাড়াও পাকিস্তান ও ইরাকের নাগরিকরা রয়েছেন। তারা প্রবাসীদের অপহরণের পর প্রথমে নির্যাতন করেন। পরে সেই নির্যাতনের ভিডিও পরিবারের কাছে পাঠিয়ে মুক্তিপণ দাবি করেন। মুক্তিপণ না পেলে তারা ভিকটিমদের হত্যা করে ফেলেন।

এমএসি/ওএফ/আরএইচ