দুর্নীতি দমন কমিশনে দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে ৯১ লাখ ৩০ হাজার ২০১ টাকার সম্পদ অর্জনের তথ্য গোপনের অভিযোগে জসিম উদ্দিন নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন দুদক (দুদক)। এছাড়া ৩ কোটি ৫০ লাখ ৬০ হাজার ২০১ টাকার সম্পদ জ্ঞাত আয় উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ থাকার তথ্য-প্রমাণও পাওয়া গেছে তার বিরুদ্ধে।

বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) দুপুরে দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম-২ এ মামলাটি দায়ের করেন সংস্থাটির উপ-সহকারী পরিচালক মো. আব্দুল মালেক বাদী হয়ে মামলাটি করেন। ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম-২ এর  উপ-পরিচালক আতিকুল আলম শিমুল। 

তিনি বলেন, জসিমের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৬(২) ও ২৭(১) ধারায় মামলাটি দায়ের করা হয়েছে।   মামলা তদন্তকালে অন্য কারও সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে তাকেও আইনের আওতায় আনা হবে।

মামলার আসামি জসীম উদ্দিন আনোয়ারা উপজেলার খোদ্দ গহিরা এলাকার মৃত আবুল বশরের ছেলে। তিনি পেশায় একজন মাছ ব্যবসায়ী। তার বিরুদ্ধে সাগারে ট্রলার দিয়ে মাছ ব্যবসার আড়ালে ইয়াবা কারবারির অভিযোগ রয়েছে।

মামলার এজহারে বলা হয়, আনোয়ারা উপজেলার জসিম উদ্দিনের বিরুদ্ধে ২০১৯ সালে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে অনুসন্ধান  চালায় দুদক। জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানকালে প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তার বিরুদ্ধে সম্পদ বিবরণী দাখিলের আদেশ জারির সুপারিশ করে অনুসন্ধান প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। পরবর্তী সময়ে জসিমকে সম্পদ বিবরণী দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়। তিনি একই বছরের ৯ ডিসেম্বর দুদকে সম্পদ বিবরণী দাখিল করেন। 

দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে ৩ কোটি ২২ লাখ ৫ হাজার টাকার স্থাবর এবং ১৪ লাখ টাকার অস্থাবর সম্পদসহ সর্বমোট ৩ কোটি ৩৬ লাখ ৫ হাজার টাকার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ অর্জনের ঘোষণা দেন। কিন্তু  দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণী বাছাইকালে তার নামে ৩ কোটি 
৯৮ লাখ ১৩ হাজার ৮৫৪ টাকার স্থাবর এবং ২৯ লাখ ২১ হাজার ৩৪৭ টাকার অস্থাবর সম্পদসহ সর্বমোট ৪ কোটি ২৭ লাখ ৩৫ হাজার ২০১ টাকার সম্পদের তথ্য প্রমাণ পাওয়া যায়। অর্থাৎ তিনি দুদকে কাছে ৯১ লাখ ৩০ হাজার ২০১ টাকার সম্পদ গোপন করেন। এছাড়া যাচাইকালে ঘোষিত সম্পদের ৩ কোটি ৫০ লাখ ৬০ হাজার ২০১ টাকার সম্পদের হিসাব দিতে পারেননি জসিম উদ্দিন। তার আয়ের সঙ্গে এসব সম্পদের কোনো মিল পাওয়া যায়নি। অর্থাৎ এসব সম্পদ তার আয় বহির্ভূত সম্পদ বলে বিবেচিত হবে।

কেএম/এসএম