রাজধানীর রামপুরা থানার বনশ্রী এলাকায় সোনিয়া (১৪) নামের এক গৃহকর্মীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় গৃহকর্মীর মৃত্যুর রহস্য খুঁজছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) দিবাগত রাত দুইটা সময় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান তিনি আগেই মারা গেছেন।

মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে রামপুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি রফিকুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, গতকাল রাত পৌনে দশটার দিকে আমরা খবর পেয়ে একটি বেসরকারি হাসপাতালে যাই। সেখান থেকে সোনিয়া নামের ওই গৃহকর্মীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

তিনি আরও বলেন, বনশ্রীতে নাজগীর আহমেদ নামে এক ব্যক্তির বাসায় কাজ করত সোনিয়া। গত দুই মাস ধরে সে এ বাসায় এসেছে। নাজগীর আহমেদ খামার বাড়িতে কৃষি মন্ত্রণালয়ের হিসাব রক্ষক হিসেবে চাকরি করেন। গতকাল বিকেলে তিনি বাসায় ফেরেন। পরে রাত সাড়ে নয়টার দিকে সোনিয়াকে বারান্দায় ব্যায়াম করার রিংয়ের সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলে থাকতে দেখেন নাজগীর আহমেদ। পরে তার এক বন্ধুকে খবর দিয়ে গাড়িতে করে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান তিনি। আমাদের খবর দিলে আমরা ওই বেসরকারি হাসপাতালে যাই।

রফিকুল ইসলাম বলেন, ওই বাসার কারো সঙ্গে গৃহকর্মীর কোনো ঝগড়া-বিবাদ বা কোনো ধরনের ঝামেলা হয়নি। নাজগীর আহমেদ তার দুই সন্তান স্ত্রীকে নিয়ে ওই বাসায় ভাড়া থাকেন। নিহত গৃহকর্মী ও গৃহ পরিচালক একই এলাকার এবং গৃহকর্মীর আরেক বোন নাজগীর আহমেদের আরেক আত্মীয়ের বাসায় কাজ করে। গৃহ পরিচালকের এক ছেলে অসুস্থ অবস্থায় বাসায় থাকেন আর এক ছেলে নটরডেম কলেজে পড়েন। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করা হয়নি।

ওসি আরও বলেন, একজন গৃহকর্মী কোন কারণ ছাড়াই আত্মহত্যা করবে এটা হতে পারে না। কী কারণে সে আত্মহত্যা করেছে এর পিছনে কী কারণ আছে তার মৃত্যুর রহস্য আমরা খুঁজছি। গৃহকর্মী সোনিয়ার গ্রামের বাড়ি বরগুনা জেলার সদরঘাট এলাকার কাঠপট্টিতে। তার বাবা এবং মা দুজনে প্রতিবন্ধী।

বর্তমানে মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য ঢামেক মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে বলে জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।

এসএএ/আইএসএইচ