ছোট্ট তাজিমও এসেছে সালাম রফিকদের শ্রদ্ধা জানাতে
শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানাচ্ছে তাজিম ও তার ভাই আলিফ
একুশের প্রথম প্রহরে রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের বেদি জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হয়।
সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ শহীদ মিনারে দলে দলে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন ভাষা শহীদদের প্রতি। শ্রদ্ধা নিবেদনে বাদ যায়নি শিশুরাও। তারাও খালি পায়ে হাটি হাটি করে সালাম, রফিকদের শ্রদ্ধা নিবেদন করে যাচ্ছে।
বিজ্ঞাপন
তাদের একজন সাত বছরের শিশু তাজিম। সে তার বাবা রাসেল শিকদার ও মা ফিরোজা বেগমের সঙ্গে রাজধানীর আগারগাঁও থেকে এসেছে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে। এ সময় তার সঙ্গে তার পাঁচ বছর বয়সী ভাই আলিফও ছিল।
তাজিম জানায়, তার পাঠ্যবইয়ের মাধ্যমে শহীদ দিবস ও শহীদ মিনার সম্পর্কে সে জানতে পারে। তখন থেকেই সে মা-বাবার কাছে বিভিন্ন সময় একুশে ফেব্রুয়ারিতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ফুল দিতে আসার বায়না করত। কিন্তু নানা কারণে এর আগে তাজিমকে শহীদ মিনারে নিয়ে আসতে পারেননি তারা। এবারই প্রথম তাজিম একুশে ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে শহীদ মিনারে এসেছে।
বিজ্ঞাপন
প্রথমবারের মতো শহীদ মিনারে আসা তাজিমের উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মতো। সে বারবার তার মাকে জিজ্ঞাসা করছিল মা এইটাই কি শহীদ মিনার। এখানেই কি একুশে ফেব্রুয়ারিতে প্রধানমন্ত্রী ফুলে দেয়। আমরা কি এখন ফুল দেব। তাজিমের এসব কৌতূহলী প্রশ্নের শুনে তার মা মুচকি হেসে বলে, হে বাবা। আমরাও এখন ফুল দেব।
মায়ের কথা শুনে তাজিম আর কোনো কথা না বলে খালি পায়ে ভিড় পাশ কাটিয়ে ধীরে ধীরে ছোট ভাইকে সঙ্গে নিয়ে শহীদ মিনারের বেদিতে শহীদদের প্রতি ফুল দিয়ে বিনম্র শ্রদ্ধা নিবেদন করে।
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তাজিম ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমি শ্রদ্ধা জানাতে এসেছি। ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছি। আমার খুব ভালো লেগেছে। শহীদ মিনার অনেক সুন্দর।
শুধু তাজিমই নয় তার মতো অনেক শিশু শহীদ মিনারের এসেছে ভাষা শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে। সালাম, রফিক, বরকত, জব্বারদের শ্রদ্ধা জানাতে নানা ধরনের ফুলের তোড়া নিয়ে মা-বাবার সঙ্গে এসেছে তারা।
এমএসি/ওএফ