১৭ জুন বাংলাদেশ রেলওয়ে লোকোমোটিভ মাস্টার ও গার্ড গ্রেড—২ স্থায়ী পদে জনবল নিয়োগের পরীক্ষার সময় কেন্দ্রে অনুপস্থিত থেকেও পরীক্ষা উত্তীর্ণের তালিকায় নাম থাকার বিষয়ে ওঠা অভিযোগের বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে পোষ্য সোসাইটি।

রোববার (২৬ জুন) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি জানান বাংলাদেশ রেলওয়ে পোষ্য সোসাইটির কেন্দ্রীয় সভাপতি মনিরুজ্জামান মনির।

তিনি বলেন, গত ১৭ জুন বাংলাদেশ রেলওয়ে লোকোমোটিভ মাস্টার ও গার্ড গ্রেড—২ স্থায়ী পদে জনবল নিয়োগের জন্য ঢাকা বিভিন্ন স্কুল কলেজে এমসিকিউ লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরে ২৩ জুন ফল প্রকাশিত হয়।

তিনি আরও বলেন, ফল প্রকাশের পর মোহাম্মদপুর কিশলয় গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রের এক পরীক্ষার্থী এবং রেলওয়ে পোষ্য সোসাইটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে যে, ওই কেন্দ্রে দুজন পরীক্ষার্থী পরীক্ষার হলে অনুপস্থিত ছিলেন। তবুও গার্ড গ্রেড—২ পদের ফলে তাদের দুজনকে ৩৭ হাজার পরীক্ষার্থীর মধ্যে থেকে নির্বাচিত করা হয়েছে। এমন অনেকেই অভিযোগ করছেন যে, পরীক্ষাকেন্দ্রে তাদের পাশে অনুপস্থিত প্রার্থীদের উত্তীর্ণ দেখানো হয়েছে।

মনিরুজ্জামান মনির বলেন, স্বাভাবিক কারণে প্রশ্ন জাগে, পরীক্ষার হলে অনুপস্থিত নির্বাচিত পরীক্ষার্থীদের কোনো স্পেশাল হলে অথবা নিয়োগ কমিটির বাসায় পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে কি না? পরীক্ষাকেন্দ্র ও হলরুমের সিসি ক্যামেরা দেখে নির্বাচিত পরীক্ষার্থীদের অংশগ্রহণের চিত্র তদন্ত করলে বেরিয়ে আসবে অনিয়মের চিত্র।

তিনি আরও বলেন, রেলওয়ে ক্যাডার বহির্ভূত কর্মচারী নিয়োগ বিধিমালা ২০২০ সংশোধনের পূর্বে তড়িঘড়ি করে জনবল নিয়োগের পরীক্ষা নেওয়া, ফল প্রকাশ এবং পূর্বের নিয়োগগুলো অসম্পূর্ণ রেখে নতুন করে জনবল নিয়োগে নিয়োগ প্রচেষ্টা রহস্যজনক। রেল অঙ্গনে গুঞ্জন রয়েছে মেয়াদ শেষের পূর্বে কমপক্ষে ৫ হাজার জনবল নিয়োগের চেষ্টা করা হচ্ছে। তারই অংশ হিসাবে তড়িঘড়ি করে লোকোমোটিভ মাস্টার ও গার্ড গ্রেড—২ পরীক্ষা নেওয়া ও ফল প্রকাশ করা হয়েছে।

তিনি নিয়োগ বিধিমালা ২০২০ সংশোধনের পূর্বে জনবল নিয়োগ বন্ধ এবং অনিয়মের মাধ্যমে নেওয়া পরীক্ষায় নির্বাচিত পরীক্ষার্থী এবং অনির্বাচিত পরীক্ষার্থীদের খাতা পুনঃমূল্যায়নসহ হলে অনুপস্থিত পরীক্ষার্থীদের নির্বাচনের বিষয়টি বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটির মাধ্যমে তদন্তের দাবি জানান।

এএসএস/আরএইচ