আগামী ৩৫ বছরে ১৪০টি ত্রৈমাসিক কিস্তিতে ২০৫৭ সাল নাগাদ পদ্মা সেতু নির্মাণে সরকারের দেওয়া সব ঋণ পরিশোধ করবে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ।  

সোমবার (২৭ জুন) একাদশ জাতীয় সংসদের অষ্টাদশ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য মমতা হেনা লাভলীর প্রশ্নের জবাবে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এ তথ্য জানান। 

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়।

তিনি বলেন, পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে চলাচলকারী যানবাহন থেকে আদায় করা টোল দিয়ে ৩৫ বছরে ১৪০টি ত্রৈমাসিক কিস্তিতে সরকারের দেওয়া সব ঋণ পরিশোধ করবে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ। এ হিসেবে ২০৫৭ সাল নাগাদ টোল আদায়ের মধ্য দিয়ে পদ্মা সেতুর জন্য ব্যয়িত অর্থ উঠে যাবে।  

জাতীয় পার্টির এমপি রুস্তম আলী ফরাজীর প্রশ্নের জবাবে রেলপথ মন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন সংসদে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে তৈরি রেলওয়ে কস্টিং প্রোফাইলের ৫ বছরের আয়-ব্যয়ের তথ্য তুলে ধরেন। 

মন্ত্রীর তথ্য মতে, ৫ বছরে ৩৬ কোটি ১৭ লাখ যাত্রী এবং ২ কোটি ৮ লাখ ১৩ হাজার টন মালামাল বহন করেছে রেল। এ সময়ে রেলের আয় হয়েছে ৬৮ কোটি ৮৬ লাখ ৫১ হাজার টাকা। রেলওয়ের প্রতি কিলোমিটারে যাত্রী প্রতি ব্যয় ২.৪৩ টাকা এবং আয় ০.৬২ টাকা। অপরদিকে মালামাল বহনে প্রতি কিমিতে টনপ্রতি খরচ হয়েছে ৮.৯৪ টাকা এবং আয় হয়েছে ৩.১৮ টাকা।

মন্ত্রী বলেন, দেশের সবচেয়ে বড় গণপরিবহন রেলওয়ে নিরাপদ ও আরামদায়ক বাহন হওয়ায় যাত্রী পরিবহন দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।

পদ্মা সেতু রোববার সকাল ৬টায় যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। সোমবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ২ কোটি ৯ লাখ ৪০ হাজার ৩০০ টাকা টোল আদায় হয়েছে বলে জানিয়েছে সেতু কর্তৃপক্ষ। এ সময় পদ্মা সেতু দিয়ে ৫১ হাজার ৩১৬টি যানবাহন পারাপার হয়েছে।

এইউএ/জেডএস