পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক বলেছেন, প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের দক্ষতা এবং দায়বদ্ধতা বৃদ্ধির মাধ্যমে অভীষ্ট লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি প্রবর্তন করা হয়েছে। মাসিক সভার অপেক্ষা না করে নিজ নিজ উদ্যোগে মাঠ পর্যায়ের কাজ তদারকি করে জানাবেন। কাজে দায়িত্বহীনতার প্রমাণ পেলে তার জন্য কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা আছে।

সোমবার (২৭ জুন) রাজধানীর পানি ভবনের কনফারেন্স রুমে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি ২০২২-২৩ স্বাক্ষর ও বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি ২০২০-২১ এর পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক বলেন, যার যার দায়িত্বকে যথাযথভাবে পালন করতে হবে। সব কিছু ঊর্ধ্বতন পর্যায়ে তদারকি সম্ভব না। দেশের উন্নয়নে আপনিও একজন অংশীদার এ মনোভাব নিয়ে কাজ করতে হবে। প্রজাতন্ত্রের কাজে নিয়োজিত সবাইকে দায়িত্বশীল হতে হবে। দায়িত্ব নিয়ে কাজ করতে হবে। 

তিনি বলেন, সততা ও আন্তরিকতা আপনার সন্তানদেরকেও প্রভাবিত করে একথা মাথায় রেখে কাজ করাটা জরুরি। যদিও পূর্বের তুলনায় কাজের মান এবং দায়িত্বশীলতার উন্নয়ন হয়েছে। এটাকে ধরে রেখে আরও কাজ বাড়াতে হবে দায়িত্ব বাড়াতে হবে। আপনাদের কর্মফলের জন্যই সব মন্ত্রণালয়ের মধ্যে ৫৪তম অবস্থান থেকে ৪ নাম্বার অবস্থানে এসেছে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়। এখন লক্ষ্য স্থির করতে হবে প্রথম বা দ্বিতীয় হবার। বাঁধে বৃক্ষরোপনের ব্যাপারে আরো বেশি দায়িত্বশীল হতে হবে।

ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম বলেন, ভালো কাজের যেমন পুরস্কার রয়েছে তেমনি খারাপ কাজের জন্য শাস্তি থাকতে হবে। আমাদের কর্মকালীন সময়ের কাজ যথাযথভাবে সম্পন্ন করে যেতে হবে। যেখানে যার গাফিলতি পাওয়া যাবে সেখানেই তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মিজানুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কবির বিন আনোয়ার, অতিরিক্ত সচিব সৈয়দা সালমা জাফরীন, এস এম রেজাউল মোস্তফা কামাল, পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক ফজলুর রশিদ প্রমুখ।

এএসএস/আইএসএইচ