বিদ্যমান করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে কোরবানির পশুর হাটে মাস্ক পরে ঢুকতে হবে এবং স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। 

বুধবার (২৯ জুন) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে এবং শিল্পাঞ্চলে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণবিষয়ক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভা শেষে ব্রিফিংয়ে মন্ত্রী এ কথা জানান। 

তিনি জানান, এ বছর ঘরমুখো মানুষের নিরাপত্তা নিরাপত্তায় গুরুত্বপূর্ণ সড়কের মোড়ে ওয়াচ টাওয়ার নির্মাণ করে বাইনোকুলার ও সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, পকেটমারসহ অন্যান্য দুষ্কৃতকারীদের নিয়ন্ত্রণে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এ বছর বাস, লঞ্চ, ট্রেন ও ফেরিঘাট ছাড়াও পদ্মা সেতুর দু-পাড়ে গোয়েন্দা নজরদারি থাকবে।

মন্ত্রী জানান, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ১০টি ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ১২টিসহ সারা দেশে ৪ হাজার ৪০৭টি পশুর হাট বসবে। সংখ্যা হয়তো দু-একটা বেশি-কম হতে পারে। হাটগুলোতে প্রয়োজন অনুযায়ী আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী থাকবে। পশুর হাটে মাস্ক পরে ঢুকতে হবে এবং স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। পশুর হাটের টাকা পুলিশের সহযোগিতায় বহন করতে পারবেন ব্যবসায়ীরা। কাঁচা চামড়া বিদেশ যাতে পাচার না হতে পারে, সেদিকেও নজরদারি থাকবে।

তিনি জানান, মহাসড়ক ও সড়কে কোনো পশুর হাট বসবে না। ঈদযাত্রা যানজটমুক্ত করতে সারাদেশে হাইওয়ে পুলিশের ১০৯টি টহল দল, ৮৪টি কুইক রেসপন্স দলসহ ওয়াচ টাওয়ার, রেকার ও অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা থাকবে। ঈদে ছুটিতে মহানগর, জেলা, উপজেলায় হাটবাজারে চুরি-ডাকাতি, ছিনতাই সন্ত্রাসী কার্যকলাপ প্রতিরোধে পুলিশ, র‍্যাব ও গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধি করা হবে।

মন্ত্রী বলেন, ঈদের আগেই পোশাক শ্রমিকদের বেতন-ভাতা পরিশোধের জন্য বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ কর্তৃপক্ষকে বলা হয়েছে এবং কর্তৃপক্ষ সরকারকে আশ্বস্ত করেছে। পোশাক শ্রমিকদের ছুটি পর্যায়ক্রমে দেওয়া হবে। তবে কোন তারিখ থেকে ছুটি দেওয়া হবে, তা নির্ধারণ করা হয়নি।

সারাদেশে ৪৫ হাজার মাঠে বা ময়দানে এবং ৫০ হাজারের মতো মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, জামাতে অংশগ্রহণকারী মুসল্লিদের মাস্ক পরিধান করতে হবে এবং সরকারের জারি করা স্বাস্থ্য নির্দেশিকা পালন করতে হবে।

এসএইচআর/আরএইচ