চট্টগ্রাম আদালত ভবন এলাকার সাড়ে তিনশ অবৈধ স্থাপনা পর্যায়ক্রমে উচ্ছেদ করা হবে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান। বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) আদালত ভবন এলাকার পাহাড়ের মাটি ধস হওয়ার স্থান পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

এদিন বিকেলে আদালত এলাকার পরীর পাহাড়ে অ্যাডভোকেট ক্লার্ক ও স্ট্যাম্প ভেন্ডর সমিতির স্থাপনার পেছনে পাহাড়ের মাটি ধস হওয়ার স্থান সরেজমিনে পরিদর্শন করেন চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান ও চট্টগ্রাম জেলার যুগ্ম জেলা জজ (নেজারত) খায়রুল ইসলাম।

এসময় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কারিগরি দল, পরিবেশ অধিদপ্তরের দল, গণপূর্ত বিভাগের প্রকৌশলীরা উপস্থিত ছিল।

জেলা প্রশাসন থেকে জানানো হয়েছে, পরীর পাহাড়ে ধসে পড়া স্থানগুলো পরিদর্শন করে ফায়ার সার্ভিস, গণপূর্ত বিভাগ ও পরিবেশ অধিদপ্তরের সমন্বয়ে গঠিত বিশেষজ্ঞ দল অতিদ্রুত রিটেইনিং ওয়াল নির্মাণ ও সংস্কারের পরামর্শ দিয়েছে। সে মোতাবেক কাজ করতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে গণপূর্ত বিভাগকে অনুরোধ করা হয়েছে।

এছাড়াও পরিদর্শক দল আশঙ্কা প্রকাশ করে, পরীর পাহাড়ে থাকা ঝুঁকিপূর্ণ বহুতল স্থাপনার কারণে সেখানে যেকোনো সময় মারাত্মক ধস পাহাড় ধসসহ ভূমিকম্পে জানমালের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে।

পরিদর্শনকালে যুগ্ম জেলা জজ (নেজারত) খায়রুল ইসলাম, জেলা জজ আদালত, চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ও চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভবনের আশপাশের অবৈধ স্থাপনাগুলো দ্রুত অপসারণের নির্দেশনা দেন।

উল্লেখ্য, এই পাহাড়ে রয়েছে চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, আদালত, আইনজীবী সমিতির বিভিন্ন স্থাপনা।

কেএম/এমএইচএস