চাহিদার তুলনায় ট্রেনের টিকিটের সংখ্যা কম হওয়াতে ভোগান্তিতে পড়ছেন টিকিট প্রত্যাশীরা- এ প্রসঙ্গে রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, চাহিদার তুলনায় আমাদের যে সক্ষমতা এবং সেটার যে ফারাক, সেটা যতক্ষণ পর্যন্ত কমাতে না পারব ততদিন পর্যন্ত এই পরিস্থিতি থেকে আমরা উত্তরণ করতে পারবো না।

শনিবার (২ জুলাই) কমলাপুর প্রধান রেলস্টেশনে ইসলামী ব্যাংকের দেওয়া ট্রলি গ্রহণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

টিকিটের অব্যবস্থাপনা প্রসঙ্গে নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, উন্নত দেশে কাউন্টারে গিয়ে টিকিট কাটার সিস্টেম এখন আর নেই। এখন সব অনলাইনে। আমরাও সেদিকে এগিয়ে যাচ্ছি। গত ঈদের আগে সহজ দায়িত্ব নিয়েছে। তারা কাজ করছে। টিকিটের কিভাবে অব্যবস্থাপনা হচ্ছে এবং তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যায়, এগুলো তো অভিজ্ঞতা ছাড়া সম্ভব না। ডিজিটাল অপব্যবহার যেন আমরা সংশোধন করতে পারি, তার জন্য আমরা চেষ্টা করবো। এবারও যে ত্রুটিগুলো ধরা পরবে, সেগুলো যেন আগামী বছর না হয় সেই ব্যবস্থা করব।

রেলমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী রেলের উন্নয়নে সুদূরপ্রসারী নানা উদ্যোগ নিয়েছেন। এবারের বাজেটেও ৫ম সর্বোচ্চ বরাদ্দ রেল বিভাগে দেওয়া হয়েছে। সরকার অনেক মেগাপ্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। এর মধ্যে খুলনা-মোংলায় ট্রেন চলবে। আর আগামীবছর ঢাকা থেকে কক্সবাজার, ঢাকা থেকে ভাঙা হয়ে ফরিদপুর পর্যন্ত ট্রেন চলবে বলে আমরা আশাবাদী। 

তিনি বলেন, গার্মেন্টস শ্রমিকদের সুবিধার কথা বিবেচনা করে এবার জয়দেবপুর থেকে স্পেশাল ট্রেন চালু করা হয়েছে। সেখান থেকে ঈদযাত্রার টিকিট দেয়া হচ্ছে। এছাড়াও ঢাকার ৬টি স্টেশনে টিকিট কাউন্টারের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। তারপরও প্রচণ্ড ভিড়। অনেকে অভিযোগ করছেন টিকিট পাচ্ছেন না। চাহিদার তুলনায় সক্ষমতা কম থাকায় এই অভিযোগগুলো আসছে। তবে ধীরে ধীরে পরিস্থিতির উন্নয়ন করার চেষ্টা করছি। মেগাপ্রকল্পগুলো শেষ হলে দূর্ভোগ কমে আসবে। 

অনলাইনে টিকিট কাটা যচ্ছে না- যাত্রীদের এমন অভিযোগ প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, সকালে অনলাইনে টিকিট কাটার জন্য ১০-১৫ লাখ হিট পড়ে। তাই সবাই অ্যাপ কিংবা ওয়েবসাইটে ঢুকতে পারে না। আবার টিকিট কম থাকায় সবাই টিকিটও পায় না। গতকাল এই অভিযোগ ছিল বেশি। আজ অভিযোগ কিছুটা কমেছে। অনেকেই টিকিট পাচ্ছেন বলে জানাচ্ছেন।

এসি ও কোচ বাড়ানো হচ্ছে না কেন? এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, শুধু কোচ বাড়ালে চলবে না, আগে অবকাঠামো বাড়াতে হবে। তবে আমরা অনেক কোচ ও বগি বাড়িয়েছি। আরও বগি কেনা হচ্ছে।  

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক নীরেন্দ্র নাথ মজুমদার, ইসলামী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা, ব্যাংকের এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. মিজানুর রহমান ভূঁইয়া প্রমুখ।

এমএইচএন/এনএফ