কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, দেশে খাদ্য নিরাপত্তা একসময় বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। বর্তমান সরকারের আমলে খাদ্য নিরাপত্তায় অভাবনীয় সাফল্য অর্জিত হয়েছে। দুর্যোগেও দেশে এখন খাদ্য সংকট হয় না। 

শনিবার (২ জুলাই) নেদারল্যান্ডসের দ্য হেগে বাংলাদেশ দূতাবাস বাংলাদেশ ভবনে প্রবাসী বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় কৃষিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, দেশের কৃষি অনেক উন্নত হয়েছে, এটিকে আমরা আরও উন্নত করতে চাই। কৃষিপণ্যের রপ্তানি বৃদ্ধি করতে না পারলে এটি সম্ভব হবে না। কোনো ফসলের উৎপাদন একটু বাড়লেই কৃষকেরা ন্যায্যমূল্য পায় না। সেজন্য আমরা কৃষিপণ্যের রপ্তানি বাড়াতে কাজ করছি। রপ্তানির ক্ষেত্রে বিদ্যমান প্রতিবন্ধকতা নিরসনে কাজ চলছে।

আরও দেখুন : সারের দাম বৃদ্ধিতে দীর্ঘায়িত হতে পারে বৈশ্বিক খাদ্য সংকট

তিনি বলেন, কৃষিপণ্য উৎপাদন ও প্রক্রিয়াজাতকরণে নেদারল্যান্ডস শীর্ষস্থানীয় দেশ, বর্তমানে দ্বিতীয় অবস্থানে। নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে (গ্রিন হাউস, বিরূপ পরিবেশে) ফসল উৎপাদনে বিশ্বের উদাহরণ। নেদারল্যান্ডসের এ অভিজ্ঞতা ও প্রযুক্তিকে আমরা কাজে লাগাতে কাজ করছি।

সভায় প্রবাসী ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশ থেকে কৃষিপণ্য আনার ক্ষেত্রে নানা সমস্যা তুলে ধরেন।

স্বাধীনতাবিরোধীরা চায় না বাংলাদেশ উন্নত হোক

এর আগে মন্ত্রী দূতাবাস ভবনে বঙ্গবন্ধু লাউঞ্জ পরিদর্শন করেন। এ সময় মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ কখনো প্রকৃত অর্থে স্বশাসিত ও স্বাধীন ছিল না। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন। কিন্তু দেশের স্বাধীনতাবিরোধী, রাজাকার, আলবদর ও মীরজাফরের বংশধরেরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে। পাকিস্তানিরা যাকে হত্যা করতে সাহস পায়নি, আমাদের সেই মহান নেতা বঙ্গবন্ধুকে এ দেশের বাঙালিরা হত্যা করেছে, যা চরম অকৃতজ্ঞতা ও নৃশংসতার উদাহরণ।

আরও দেখুন : এবার ডিএসসিসিতে হচ্ছে ৬টি কৃষকের বাজার

তিনি বলেন, মাও সেতুং ও লেনিনকে সে দেশের মানুষ পরম শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে। বঙ্গবন্ধু মাও সেতুং ও লেনিনের মতোই মহান নেতা, কিন্তু স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি, রাজাকার, আলবদররা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে। এখনো এই অপশক্তি বঙ্গবন্ধুর অবদানকে অস্বীকার করে। এই স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি এখনো চায় না বাংলাদেশ উন্নত দেশ হোক, পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে যাক।

পরে বিকেলে কৃষিমন্ত্রী ইস্ট ওয়েস্ট সিডসের প্রতিষ্ঠাতা ও ওয়াল্ড ফুড প্রাইজ বিজয়ী সিমন গ্রুটসের সঙ্গে বৈঠক করেন। 

এ সময় কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ওয়াহিদা আক্তার, অতিরিক্ত সচিব মো. রুহুল আমিন তালুকদার, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ মো. বখতিয়ার, বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম রিয়াজ হামিদুল্লাহ, মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব রেহানা ইয়াসমিন ও দূতাবাসের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। 
 
এসএইচআর/ওএফ