রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশনে চলছে ঈদযাত্রার অগ্রিম টিকেট বিক্রি। স্টেশনে আন্তঃনগর ট্রেনের কাউন্টারগুলোর মধ্যে একটি কাউন্টার বরাদ্দ রয়েছে নারী ও বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ব্যক্তিদের জন্য। এ কাউন্টার থেকে প্রথম ২০/৩০ জন টিকিট পেয়েছেন। তারপরই জানানো হয়, টিকিট শেষ। পরে লাইনে দাঁড়ানো অন্য নারী টিকিটপ্রত্যাশীরা স্টেশন ম্যানেজারের কাছে এসে অভিযোগ করেন, কাউন্টার থেকে একটি করে টিকিট দেওয়া হলেও আরও দুটি করে টিকিট ইস্যু করে তারা ড্রয়ারে রেখে দিয়েছে।

রোববার (৩ জুলাই) সকাল ১০টার দিকে এ অভিযোগ করেন বেশ কয়েকজন নারী টিকিট প্রত্যাশী।

টিকিটপ্রত্যাশীরা বলেন, বাবা-মায়ের সঙ্গে বাড়িতে ঈদ করব— এমন প্রত্যাশা নিয়েই টিকিট কাটতে এসেছি আমরা। কিন্তু বুকিং সহকারীরা আমাদেরকে টিকিট না দিয়ে তারা টিকিট ইস্যু করে ড্রয়ারে ঢুকিয়ে রাখে। প্রত্যেকটা কাউন্টারের ড্রয়ারে আলাদা করে টিকিট রাখা আছে। ছেলেদের ১০০ সিরিয়াল পর্যন্ত টিকিট পাচ্ছে। অথচ আমরা ৩০-৪০ সিরিয়ালে থেকেও টিকিট পাচ্ছি না। আগে তো টিকিট পাওয়া যেত, তাহলে এখন কেন পাওয়া যাচ্ছে না। তাহলে কি আগের চেয়ে টিকিট কমে গেছে। আমাদের দাবি হচ্ছে, নারীদের জন্য আরও একটি কাউন্টার করা হোক। ছেলেদের জন্য এত এত কাউন্টার, তাহলে মেয়েদের জন্য কি দুইটা কাউন্টার হতে পারে না?

তারা আরও বলেন, যাদের লবিং আছে তারা একে-ওকে ধরছে এবং আমাদের সামনে বলছে যে আমাকে দুইটা টিকিটের ব্যবস্থা করে দেন। আমরা যে কালকে (শনিবার) সন্ধ্যা থেকে এখন পর্যন্ত অপেক্ষা করছি, তাহলে আমাদের এই পরিশ্রমের কি কোনো দাম নেই?

অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে কমলাপুর স্টেশনের ব্যবস্থাপক মাসুদ সারওয়ার বলেন, এখানে একটি ট্রেনের টিকিটের জন্য তিনটি কাউন্টার রয়েছে। একটি পুরুষদের জন্য, একটি নারীদের ও বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ব্যক্তিদের জন্য এবং অন্যটি সেনা কর্মকর্তাদের জন্য। ঈদের টিকিট কেউই চারটির কম নেয় না। তাহলে যদি প্রতিটি কাউন্টারের প্রথম ৪০ জন চারটি করে টিকিট নেন তাহলে টিকিটের সংখ্যা দাঁড়ায় ৪৮০টি। তাহলে লাইনে পরে যারা আছেন, তারা তো টিকিট পাবেন না।

এমএইচএন/এসএসএইচ