নিজেকে দুদক উপপরিচালক, মহাপরিচালক কিংবা সচিবের পরিচয় দিয়ে সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তাদের দুর্নীতির অনুসন্ধান করছেন, আবার অর্থের বিনিময়ে অভিযোগ থেকে অব‌্যাহতিও দিচ্ছেন। এ যেন দুর্নীতি কমিশনের (দুদক) বাইরে আর একটি কমিশন।

এভাবে প্রতিনিয়ত প্রতারক চক্র দুদকের নাম ব্যবহার করে বিভিন্ন ব্যক্তিদের হয়রানি করে যাচ্ছে। এমনকি পুলিশের ওসিকেও রেহাই দিচ্ছে না। দুদকের জাল নোটিশ তৈরি করে ভয় দেখিয়ে হয়রানি করার চেষ্টা করছে চক্রটি।

বিভিন্ন সময় এসব প্রতারণার সত্যতা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানে বেরিয়ে এসেছে। কেউ কেউ গ্রেপ্তার হলেও অনেকে থেকে যাচ্ছেন ধরাছোঁয়ার বাহিরে। এসব প্রতারক চক্র আবারও সক্রিয় হয়ে উঠেছে। সে কারণে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে দুদকের জনসংযোগ বিভাগ।

এ বিষয়ে দুদক উপপরিচালক (জনসংযোগ) মুহাম্মদ আরিফ সাদেক ঢাকা পোস্টকে বলেন, দুদকের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নাম ব্যবহার করে একাধিক প্রতারক বা প্রতারক চক্র কমিশনের মামলা কিংবা কাল্পনিক অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দিচ্ছে। বিনিময়ে টেলিফোনের মাধ্যমে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে। কমিশন এ জাতীয় কর্মকাণ্ড বন্ধে বহুমাত্রিক ব্যবস্থা নিয়েছে। পুলিশ-র‌্যাবসহ বিভিন্ন সংস্থার সহায়তায় এসব প্রতারকদের কাউকে কাউকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হয়েছে। অনেকের বিরুদ্ধে আদালতে মামালাও চলছে।

এ ধরনের কর্মকাণ্ড জনমনে বিভ্রান্তি তৈরিসহ দুদকের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার অপচেষ্টা করছে। এ বিষয়ে সচেতনতার কোনো বিকল্প নেই। যদি কোনো ব্যক্তি কমিশনের কর্মকর্তা কিংবা কমিশনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নাম ব্যবহার করে অনৈতিক কোনো বিষয়ে তদবির করে তাহলে প্রতিকার পাওয়ার জন্য তাৎক্ষণিকভাবে দুদকের পরিচালক (গোয়েন্দা) মীর মো. জয়নুল আবেদীন শিবলী (মোবাইল নং- ০১৭১১-৬৪৪৬৭৫) অথবা উপপরিচালক (জনসংযোগ) মুহাম্মদ আরিফ সাদেক (মোবাইল নং- ০১৭১১-৫৭৩৮৭৪) এর সঙ্গে যোগাযোগ করার অনুরোধ জানানো যাচ্ছে। প্রয়োজনে নিকটস্থ দুদক কার্যালয় কিংবা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তা নেওয়ার পরামর্শ নেওয়া যেতে পারে বলে জানান তিনি। 

আরএম/আরএইচ