বাঁয়ে গ্রেপ্তার হওয়া নুরুল আমিন। ইনসেটে আগুনে মৃত ব্যবসায়ী গাজী আনিস

জাতীয় প্রেসক্লাব চত্বরে নিজের গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যাকারী ব্যবসায়ী গাজী আনিসের মৃত্যুর ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে শাহবাগ থানায় দায়ের করা মামলায় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃত দুজন হলেন হেনোলাক্স গ্রুপের (আমিন ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি) ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুরুল আমিন ও পরিচালক ফাতেমা আমিন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে র‍্যাবের লিগ্যাল আ্যন্ড মিডিয়া উইংয়ের সহকারী পরিচালক এএসপি আ ন ম ইমরান খান বলেন, মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর র‌্যাব-৩ এর একটি দল রাজধানীর উত্তরা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর তাদের শাহবাগ থানায় হস্তান্তর করা হবে বলে জানান র‌্যাবের ওই কর্মকর্তা।

এর আগে মঙ্গলবার দুপুরে নিহত গাজী আনিসের ভাই নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে নুরুল আমিন ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় মামলা দায়ের করেন।

সোমবার (৪ জুলাই) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাব এলাকায় গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন ব্যবসায়ী গাজী আনিস। পরে তাকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে সন্ধ্যায় তাকে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) নেওয়া হয়। আজ সকাল সোয়া ছয়টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।

জানা গেছে, গাজী আনিসের বাড়ি কুষ্টিয়ায়। তিনি একসময় জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন। তিনি কুমারখালী উপজেলার পান্টি ইউনিয়নের পান্টি বাজার এলাকার মৃত ইব্রাহিম বিশ্বাসের ছেলে।

গত ২৯ মে জাতীয় প্রেস ক্লা‌বে এক সংবাদ সম্মেলনে হেনোলাক্স নামে প্রসাধন সামগ্রীর কোম্পানির কাছে ১ কোটি ২৬ লাখ টাকা পাওয়ার দাবি করেছিলেন গাজী আনিস। তার এক বন্ধু একটি গণমাধ্যমকে বলেছেন, ওই টাকা না পেয়েই গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা চালান তিনি।

জেইউ/এসএম/জেএস