কুষ্টিয়া থেকে ১৫টি গরু নিয়ে ঢাকায় পশুর সবচেয়ে বড় হাট গাবতলীতে আসেন বাতেন বেপারী। হাটে আসার তিন দিনের মধ্যে তিনি গরু বিক্রি করেছেন চারটি। বাকি গরুগুলো বিক্রি করার মতো ক্রেতা না মেলায় কিছুটা চিন্তিত তিনি।

গাবতলীর পশুর হাটে ঢাকা পোস্টের সঙ্গে কথা হয় বাতেনের। তিনি জানান, গরু আনছি ১৫টা, বিক্রি করছি ৪টা। আর তো সময়ও নাই হাতে। কাস্টমার আসে। কিন্তু দাম কম বলে। ভাবছি এগুলো বিক্রি করতে পারলে এলাকায় আরও কিছু গরু আছে নিয়ে আসব। 

আর মাত্র চারদিন পরেই দেশে ঈদুল আজহা উদযাপন করা হবে। ঈদকে কেন্দ্র করে রাজধানীর হাটগুলোতে পর্যাপ্ত পশু দেখা গেলেও এখনও হাটগুলোতে সেভাবে বিক্রি শুরু হয়নি। 

বুধবার (৬ জুলাই) গাবতলীর পশুর হাটে ক্রেতা ও বেপারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, হাটে ছোট গরুর চাহিদা বেশি। বড় গরু বিক্রি সেভাবে হচ্ছে না। 

মিরপুরের বাসিন্দা খোকন মিয়া হাটে আসেন গরু কিনতে। তিনি বলেন, গরু কিনতে আরও একদিন এসে ঘুরে গেছি। দাম বেশি চায়। লাখের নিচে কোনো গরু নাই। আমাদের পরিবার ছোট, মোটামুটি ৭০ থেকে ৮০ হাজার আমাদের বাজেট। কিন্তু যে গরুতেই হাত দেই সেটা এক লাখের ওপরে।

পশু বেপারী ইদ্রিস জানান, হা‌টে ১১‌টি গরু তু‌লে‌ছি। এখনও বি‌ক্রির মুখ দে‌খিনি। কাস্টমার দেখ‌ছি না। অ‌নে‌কে আসে। দাম ক‌রে, চ‌লে যায়। গরুর পেছনে আগে যে খরচ হইত, এখন খরচ তার ডাবল। অ‌নেক কাস্টমার দাম ব‌লে, কিন্তু সেটা বে‌শি না। কিন্তু খরচ যে বে‌শি সেটা তারা বুঝ‌তে চায় না।

এবার উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায় বসানো হয়েছে ৮টি অস্থায়ী পশুর হাট। অন্যদিকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় বসেছে ১০টি অস্থায়ী হাট। পাশাপাশি ডিজিটাল হাটের দিকেও গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।

এনআই/জেডএস