উত্তরা ১১ নং সেক্টরের ১০ নম্বর রোড ধরে রাত ১টার দিকে নিজ গন্তব্যে যাচ্ছিলেন ফুড পান্ডার একজন ডেলিভারিম্যান। কিন্তু হঠাৎ একটি মোটরসাইকেলে করে তিন জন ছিনতাইকারী তাকে ঘিরে ফেলে। এ সময় ছিনতাইকারীদের এক জন মোটরসাইকেল থেকে চাপাতি দেখিয়ে ওই ডেলিভারিম্যানকে তার মোবাইল ফোন ও টাকা পয়সা দিয়ে দিতে বলে। কিন্তু ডেলিভারিম্যান দিতে অস্বীকৃতি জানালে তাকে এলোপাতাড়ি চাপাতি দিয়ে কোপাতে থাকে ছিনতাইকারী।

এর মধ্যে একটি চাপাতির কোপ ফুট পান্ডার ডেলিভারিম্যানের গায়েও লাগে। তবে এতে দমে যাননি তিনি। সাহস করে মোটরসাইকেল থেকে এক জন ছিনতাইকারীকে ফেলে দেন এবং সেই সঙ্গে মোটরসাইকেলের চাবি নিজের হাতে নিয়ে নেন।

এ সময় ছিনতাইকারী বলে বার বার চিৎকার করতে থাকেন ওই ডেলিভারিম্যান। তার চিৎকার শুনে পাশে থাকা উত্তরা পশ্চিম থানার টহল পুলিশের দল দ্রুত ঘটনাস্থলে আসে এবং ছিনতাইকারীদের গ্রেপ্তার করে।

গ্রেপ্তার ছিনতাইকারীরা হলেন- মো. শাকিল, রায়হান হোসেন ও মো. সজিব ইসলাম। মঙ্গলবার (৫ জুলাই) দিবাগত রাতে উত্তরার ১১ নং সেক্টরের ১০ নং রোডে এ ঘটনা ঘটে।

বুধবার (৬ জুলাই) দুপুরে ঢাকা পোস্টকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন উত্তরা পশ্চিম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহ মো. আকতারুজ্জামান ইলিয়াস।

তিনি বলেন, গত রাত প্রায় ১টার দিকে উত্তরার ১১ নং সেক্টরের ১০ নং রোডে ফুড পান্ডার এক জন ডেলিভারিম্যান ছিনতাইকারীদের কবলে পড়েন। তিনি চাপাতির একটি কোপ খাওয়া সত্ত্বেও অত্যন্ত সাহসিকতার সঙ্গে ছিনতাইকারীদের একজনকে মোটরসাইকেল থেকে ফেলে দেন এবং বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে তাদের মোটরসাইকেলের চাবি নিয়ে নেন।

এরপর তার চিৎকারে আশ-পাশের লোকজন, সিকিউরিটি গার্ড ও টহল পুলিশ এসে ছিনতাইকারীদের গ্রেপ্তার করে। পুলিশ ছিনতাইকারীদের কাছ থেকে ৪টি মোবাইল ফোন, একটি চাপাতি, একটি ব্যাগ ও ছিনতাইকাজে ব্যবহৃত একটি মোটরসাইকেল জব্দ করেছে।

গ্রেপ্তাদের বিরুদ্ধে উত্তরা পশ্চিম থানায় দ্রুত বিচার আইনে মামলা রুজু হয়েছে। এই মামলায় রিমান্ড আবেদন করে আসামিদের আদালতে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।

এমএসি/জেডএস