রাজধানীর দনিয়া এলাকার শনির আখড়া হাট থেকে ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা দিয়ে সাদা-কালো রঙয়ের একটা গরু কিনেছেন আব্দুল হাদীদ। তার মতে, গরুর দাম কিছুটা বেশি। তবে সেটা সহনীয়।

তিনি বলেন, এই হাটে গরুর দাম একটু বেশি। কিন্তু সেটা অস্বাভাবিক নয়। দাম যাই হোক, গরু পছন্দ হয়েছে, এটাই বড় কথা।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের এই কর্মচারীর সঙ্গে হাটে এসেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদে কর্মরত আরও তিন কর্মচারী। সবার ভাষ্য একই, দাম কিছুটা বেশি। তবে সেটা খুব বেশি তাও বলা যাবে না। তারা ১ লাখ ৩০ হাজার টাকায় গরু কিনেছেন, দাম নিয়ে তারা সন্তুষ্ট।

বুধবার (৬ জুলাই) সন্ধ্যার পর রাজধানীর শনির আখড়া পশুর হাটের দুই প্রান্ত ঘুরে দেখা যায়, বেশকিছু বড় গরু উঠেছে এই হাটে। সবচেয়ে বড় গরুর নাম ‘পদ্মা সেতু’। ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার বেপারি জাকির মাতব্বরের গরুটিকে চারপাশ থেকে ঘিরে রেখেছে দর্শনার্থীরা।

জাকির মাতব্বরের দাবি, এই হাটে এটাই সবচেয়ে বড় গরু। ওজনে এক টনের বেশি হবে। দাম ১৫ লাখ টাকা চাইছেন তিনি।

এই হাটে অন্য বড় গরুর মধ্যে আছে ‘লাল বাদশা’, দাম ৮ লাখ টাকা। ফরিদপুরের আরেক বেপারি আব্দুল আকমত খানের ‘বীর বাহাদুর’ এর দাম সাড়ে ১০ লাখ টাকা।

বড় গরুগুলোর ছবি তোলা ও ভিডিও করাতেই সীমাবদ্ধ ছিলেন অনেকে। আবার কেউ কেউ দাম জিজ্ঞেস করেই মুখ ফিরিয়েছেন। রাত ১০টা পর্যন্ত গরুগুলো বিক্রি হয়নি।

হাসিল কাউন্টার, ক্রেতা ও বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এবার কিছুটা বাড়তি দামে গরু বিক্রি হচ্ছে। এর পেছনে তারা গবাদি পশুর খাদ্যের বাড়তি দামকে দায়ী করেছেন।

বুধবার সন্ধ্যা থেকে এই হাটে ঘুরে মাঝারি ধরনের গরু বেশি বিক্রি হতে দেখা গেছে। মাতুয়াইল থেকে ভাইয়ের সঙ্গে হাটে এসেছেন মাশরাফী খান। দুটি গরু কিনেছেন তারা। একটির দাম ৩ লাখ ৩০ হাজার, অন্যটি ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা।

মাশরাফী বলেন, গরুর দাম বেপারিরা একটু বেশিই চায়। গত বছর যে গরু ছিল ৩ লাখ, এবার সেটা ৩ লাখ ৫০ হাজার থেকে ৪ লাখে বিক্রি হচ্ছে। কিন্তু আমাদের তো কিছু করার নেই। গরু তো কিনতেই হবে। তাই দর কষাকষি করে দুটো গরু কিনেছি।

এএজে/এসএসএইচ